অবরোধের প্রথম দিন

গাবতলী ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

গাবতলী ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল। ৩১ অক্টোবর ২০২৩। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।

আজ সকাল ১০টায় এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী বাস টার্মিনালের বেশিভাগ বাস কাউন্টার খোলা। তবে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম।

টার্মিনালের রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান রাফি ট্রেডার্স লিমিটেডের কর্মী লিটন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোর থেকেই গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, এখনো দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি বলে কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি।'

হানিফ এন্টারপ্রাইজের টিকিট মাস্টার শাহরিয়ার শুভ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেশ কয়েকটি রুটে ২০টির মতো গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না থাকায় কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'দুই-চারটি টিকিট বিক্রি করেছিলাম। পরে তাদেরকে টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। এত অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়া সম্ভব নয়।'

'আমরা অবরোধ নিয়ে ভাবছি না। ভাবছি যাত্রী নিয়ে। পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী পেলে আমরা গাড়ি ছাড়বো,' যোগ করেন তিনি।

গাবতলী ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস
গাবতলী বাস টার্মিনালে অবরোধবিরোধীদের অবস্থান। ৩১ অক্টোবর ২০২৩। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

একই তথ্য পাওয়া গেছে শ্যামলী পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহন পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে।

গাবতলীতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করা যাত্রী রাকিবুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঝিনাইদহ যাব বলে সকাল ৭টা থেকে এখানে অপেক্ষা করছি। বাস আছে, তবে যাত্রী নেই। কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী পাওয়া গেলে বাস ছাড়া হবে।'

এদিকে, গাবতলী বাস টার্মিনালের মূল ফটকে অবরোধবিরোধী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বসে থাকতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে এক গণপরিবহনকর্মী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবরোধবিরোধীদের দেখে মনে হচ্ছে তারাই অবরোধকারী। যাত্রী যাও কয়েকজন আসতেন মনে হয় তাদের (অবরোধবিরোধীদের) দেখে ভয়ে কেউ টার্মিনালের ভেতরে আসছেন না।'

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

The meeting will be held tonight at 8:00pm at the State Guest House, Jamuna

1h ago