বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা দাবি করা মিয়া আরেফি আটক
মিয়া আরেফিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা দাবি করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

পল্টনে মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘাতের মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে দাবি করে বক্তব্য দেন মিয়া আরেফি। তবে পাবনায় গ্রামের মানুষ তাকে বেলাল নামে চেনেন।

গত রোববার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফিকে আটক করে পুলিশ। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুল হুদা চৌধুরী এই আদেশ দেন।

শুনানির আগে, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের কর্তৃপক্ষের কাছে আদালত থেকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। মিয়া আরেফি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে যুক্ত হন। আদালতে আরেফির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

একই মামলায় গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। গত মঙ্গলবার সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নেতা–কর্মীদের উৎসাহিত করতেই কথিত বাইডেনের উপদেষ্টাকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, মিয়া আরেফি ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচির বিষয়ে বিশেষভাবে অবগত ছিলেন না। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী তাকে বিএনপি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ইশরাকও উপস্থিত ছিলেন। তারা তাকে জো বাইডেনের উপদেষ্টা ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা বলে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানান।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

9h ago