আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না: তথ্যমন্ত্রী

আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য আর কাউকে লাগবে না; তারেক রহমানই যথেষ্ট বিএনপিকে মুসলিম লীগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।'

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই রয়ে যাবে—দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যেসব নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, হোতা, অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতারা এবং বিশেষ করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেবারে ওয়ার্ড লেভেল পর্যন্ত টেলিফোন করে বলছে আগুন সন্ত্রাস চালানোর জন্য। সেগুলো তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তারা ওয়ার্ড লেভেলের নেতাকর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে। এটি কোনো রাজনীতি না। এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না।

'যারা এই কাজগুলো করছে, এটার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের তো শুধু সরকার নয়, জনগণও তো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা জনগণকেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই,' বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, তাতে কোনো বাধা নেই, কোনো আপত্তি নেই। তারা তো এতদিন ধরে সব কিছু করেছে। সেদিন সমাবেশ শুরু করার আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার আগে কিছুই করা হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা দেড় কিলোমিটার দূরে ছিল, কয়েক লাখ নেতাকর্মী; একজনও সেদিকে যায়নি। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

7h ago