‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জি-৭ এর, হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে মালয়েশিয়া

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৩২ দিনের মাথায় ‘মানবিক বিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা সাত শক্তির রাজনৈতিক জোট জি-৭ (গ্রুপ অব সেভেন)।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ। দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় আহত কয়েকজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। ছবি: এপির সৌজন্যে

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৩২ দিনের মাথায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা সাত শক্তির রাজনৈতিক জোট জি-৭ (গ্রুপ অব সেভেন)।

আজ বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিবৃতিতে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ, বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

ইতোমধ্যে গাজা শহরকে (গাজা সিটি) চারপাশ থেকে ঘিরে হামাসের ভূগর্ভস্থ টানেলের ভেতর জোর হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল, যেখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস।

অপরদিকে হামাস বলছে, তারা অতর্কিত পাল্টা হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৬৯ জনে। যাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জন শিশু।

জাতিসংঘের মতে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ২৩ লাখ গাজাবাসীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বাস্তুহারা হয়েছেন। 

গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই হামাসের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। 

গতকাল দেশটির সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ানরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। এমনকী এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেবে না তার দেশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Lifts at public hospitals: Where Horror Abounds

Shipon Mia (not his real name) fears for his life throughout the hours he works as a liftman at a building of Sir Salimullah Medical College, commonly known as Mitford hospital, in the capital.

3h ago