‘হ্যালো আমি এসপি বলছি’ প্রতারক গ্রেপ্তার

মো. সাগর প্রকাশ রিমন। ছবি: সংগৃহীত

কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও নিজেকে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক কর্মকর্তার সঙ্গে প্রতারণা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।

সন্দেহভাজন এই প্রতারকের নাম মো. সাগর প্রকাশ রিমন (২৩)। তার বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাংড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নওগাঁর মান্দা ও রাজশাহীর মোহনপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ বলছে পুলিশ সুপার (এসপি) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ ও নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্রটি।

সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমে সাগর বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নাম্বার নিয়ে নিজেকে পুলিশের এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে কল দিতেন। পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সেই থানা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে নিজেকে পুলিশের এসপি/অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয়ে কল দিতেন। তিনি স্থানীয় সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে সশরীরে কাছাকাছি বিকাশ না নগদ এজেন্টের কাছে যেতে বলতেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল থেকে কৌশলে বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন।'

'স্থানীয় সেই পুলিশ অফিসার চলে গেলে পরবর্তীতে বিকাশ এজেন্টকে ফোন দিয়ে টাকা পাঠাতে বলতেন তিনি।'

কাউন্টার টেররিজমের উপ-পুলিশ পরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, '২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকায় বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় মামলা হয়। অতিরিক্ত এসপি মামুন পরিচয়ে তার কাছ থেকে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।'

পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ বলেন, 'সাগরের মোবাইল নাম্বার অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা তার ব্যবহৃত বিভিন্ন নম্বরে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্যের নম্বর পেয়েছি। ট্রু কলারসহ বিভিন্ন অ্যাপেও পুলিশ কর্মকর্তার নাম দিয়ে আইডি খুলেছেন তিনি।'

বিভিন্ন থানায় সাগরের বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago