গাজায় প্রত্যেক হামাসের বিপরীতে ২ বেসামরিক নাগরিক নিহত: ইসরায়েল

যুদ্ধ বিরতি শেষে নতুন করে দক্ষিণ গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। আহত ব্যক্তিদের খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
যুদ্ধ বিরতি শেষে নতুন করে দক্ষিণ গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। আহত ব্যক্তিদের খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েরের হামলায় প্রত্যেক হামাস সদস্যের জন্য দুই জন করে বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের ৫ হাজার সদস্য নিহত হওয়ার খবর ঠিক কিনা জানতে চাইলে এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'সংখ্যাটি কমবেশি ঠিক।'

ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেন, এই অনুপাত খুব একটা খারাপ নয়। এখন আমরা দুই অনুপাত এক এ আছি। তিনি বলেন আশা করছি এই অনুপাত কমে আসবে।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলার ফল। ছবি: রয়টার্স
রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলার ফল। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথান কনরিকাস সিএনএনকে বলেন, গাজায় প্রত্যেক হামাসের বিপরীতে দুই জন করে বেসামরিক নাগরিক হত্যার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। হাসামের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে থাকা এবং তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্রমবর্ধমান মৃত্যু এবং মানবিক সংকট বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

প্রায় দুই মাস ধরে চলমান সংঘাতে মাঝে কাতারের মধ্যস্থতায় সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চললেও ইসরায়েল আবারও হামলা শুরু করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বারবারা লিফ কংগ্রেসকে গত মাসে জানান, সংঘাত চলাকালীন সময়ে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্স সহকারী সচিব বারবারা আরও বলেন, 'বন্দুকের নল নিরব হলেই কেবল আমরা হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago