সিএমএম কোর্টকে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

মির্জা ফখরুলের জামিন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন গ্রহণ এবং আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া, মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ ও শুনানি করতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অস্বীকৃতি জানানোর সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ ও রুল জারি করেন।

রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে করা পৃথক ৯টি মামলায় মির্জা ফখরুলের ৯টি জামিন আবেদন শুনানি করতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অস্বীকৃতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদন করা হয়েছিল।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় শুনানি করেন।

মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম গত ১৪ ডিসেম্বর আইনজীবীদের মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট আবেদন জমা দেন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিভিন্ন তারিখে শুনানির জন্য মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আবেদনে হাইকোর্টের কাছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জামিন আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য শুনানির নির্দেশ চাওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, আইনজীবীরা গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর শুনানির জন্য ওই আদালতে জামিন আবেদন জমা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নাকচ করে দেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পল্টন ও রমনা থানায় এ নয়টি মামলা করা হয়।

মামলায় পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা, রাস্তায় বেআইনি জমায়েত, যানবাহন ভাঙচুর, সংঘর্ষ, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গত ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago