৯০ সেকেন্ড আগে পরীক্ষার খাতা নিয়ে নেওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা

সুনেউং পরীক্ষা
দক্ষিণ কোরিয়ার কলেজ ভর্তি পরীক্ষা 'সুনেউং' । ছবি: এএফপি

নির্ধারিত সময়ের ৯০ সেকেন্ড আগে কলেজের ভর্তি পরীক্ষার খাতা নিয়ে নেওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার একদল শিক্ষার্থী।

বিবিসি জানায়, কমপক্ষে ৩৯ জন শিক্ষার্থী মঙ্গলবার এ মামলা করেছেন। তারা প্রত্যেকে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি ওয়ান (১৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেছেন। আগামী বছর এই ভর্তি পরীক্ষা দিতে এক বছরের পড়াশোনার খরচ হিসেবে এ অর্থ চেয়েছেন তারা।

দেশটির কলেজ ভর্তি পরীক্ষা সুনেউং নামে পরিচিত। এটি বেশ কয়েকটি বিষয়ে আট ঘণ্টার একটি ম্যারাথন পরীক্ষা। সুনেউং বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটি।

প্রতি বছর এ পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়—যেমন দেশের আকাশসীমা বন্ধ করা এবং স্টক মার্কেট দেরিতে খোলা।

গত ৮ ডিসেম্বর চলতি বছরের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, পরীক্ষার প্রথম বিষয় ছিল কোরিয়ান। এ পরীক্ষা চলাকালে রাজধানী সিউলের কোনো কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রে আগেই ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। কিছু ছাত্র তখনই এর প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু সুপারভাইজাররা তাও তাদের খাতা নিয়ে যায়। পরের পরীক্ষা শুরুর আগেই নিজেদের ভুল শনাক্ত করেন শিক্ষকরা। তারা মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের ওই দেড় মিনিট সময় দেন।

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই দেড় মিনেটে তারা উত্তরপত্রে দাগ টানতে পেরেছেন শুধু। তাদের কোনো প্রশ্নের উত্তর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা এতটাই হতাশ হয়ে যায়, তারা বাকি পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারেনি। এমনকি কেউ কেউ হাল ছেড়ে বাড়ি চলে যায়।

তাদের আইনজীবী কিম উ-সুক জানান, এ ভুলের জন্য শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাননি। পাবলিক ব্রডকাস্টার কেবিএস জানায়, কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একজন সুপারভাইজার সময়ের হিসেবে ভুল করায় এ ঘটনা ঘটে।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় পরীক্ষা শেষের আগে ঘণ্টা বাজানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এমনকি এ ধরনের ঘটনায় মামলাও প্রথম নয়। ২০২১ সালের ভর্তি পরীক্ষায় দুই মিনিট আগে ঘণ্টা বাজানোর অভিযোগ মামলা করলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শিক্ষার্থীদের ৭০ লাখ ওয়ান ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিউলের একটি আদালত।

Comments

The Daily Star  | English
NID cards of Sheikh Hasina and family locked

NIDs of Hasina, 9 family members 'locked'

The NIDs of the 10 listed individuals were locked through an official letter on April 16

1h ago