নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে শোকজ

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

শোকজ নোটিশে আগামী ৩১ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে মন্ত্রীকে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট-২ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ তাহমীদুর রহমান গত মঙ্গলবার নোটিশে স্বাক্ষর করেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা হানিফ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর ২৫ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা হানিফকে ঘাড় মটকানোর মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। অভিযুক্ত প্রার্থীর বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধির ১০(ক) ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছে। অভিযুক্ত প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে কেন অনুসন্ধানপূর্বক নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে না এই মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গোলাম মর্তুজা হানিফ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হকের 'ঈগল' প্রতীকের সমর্থক এবং নির্বাচনী প্রচার করছেন।

গোলাম মর্তুজা হানিফ দ্য ডেইলি স্টারকে এর আগে বলেছিলেন, 'সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর হুমকিমূলক বক্তব্যের কারণে ভীত হয়ে পড়ি এবং নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করি। ২৫ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করি,' তিনি বলেন। 'সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নানা অনিয়ম-দুর্নীতি তুলে ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেওয়া তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বক্তব্য দেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago