মেহজাবীনের পুরস্কারের বছর
অভিনেত্রী মেহজাবীনের জন্য চলতি বছরটি ছিল পুরস্কার ও প্রশংসার। অল্প কয়েকটি নাটক ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেও তিনি বছরজুড়ে প্রশংসায় ভেসেছেন, দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
এ বছর তিনি চারটি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে।
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে এসেছে ব্লেন্ডার্স চয়েস দ্য ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যান্ড ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যাওয়ার্ড, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার, চ্যানেল আই পুরস্কার এবং সাংবাদিকদের সংগঠন বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড।
মেহজাবীন বলেন, 'কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার পেলে ভালো লাগে। ভালো কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়।'
বছরের শুরুতে প্রচারিত হয় মেহজাবীন অভিনীত 'কাজলের দিনরাত্রি' নাটকটি। বছরের শেষ দিকে প্রচার হয় তার অভিনীত 'পুনর্জন্ম'। এর বাইরে বিজয়ের মাসে প্রচার হয়েছে 'অনন্যা'। ২০২৩ সালে তার অভিনীত এই তিনটি নাটকেই কেবল প্রচারিত হয়েছে।
মেহজাবীন বলেন, 'সংখ্যাটা বড় বিষয় নয়, গুণগত কাজটি আসল। নাটক যদি ভালো হয়, তাহলে দর্শক দেখেন। দর্শকরা সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকেন।'
এই তিনটি নাটক ছাড়া ২০২৩ সালে মেহজাবীন দুটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। একটি 'দ্য সাইলেন্স'। ভিকি জাহেদ পরিচালিত এই ওয়েব সিরিজে তার বিপরীতে ছিলেন সজল।
মেহজাবীন বলেন, 'দ্য সাইলেন্স ওয়েব সিরিজের গল্পটা অন্যরকম ছিল। আমার চরিত্রটিও বেশ ভালো ছিল। সব মিলিয়ে অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি। অভিনয় করার সুযোগটা ছিল।'
তার অভিনীত অপর ওয়েব সিরিজটি হচ্ছে 'আমি কী তুমি'। এটিও পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ।
এই ওয়েব সিরিজ বিষয়ে মেহজাবীন বলেন, 'এটাও ভিকি জাহেদের ভালো একটি নির্মাণ ছিল। তার কাজে সবসময় ভিন্নতা আছে। এটাও ছিল। অভিনয় করে আমি হ্যাপি।'
বছর শেষের 'অনন্যা' নাটকটি মেহজাবীনকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে আসে। মেহজাবীন প্রমাণ করেন, নন গ্ল্যামারাস চরিত্রেও তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের কাছাকাছি থাকতে পারেন।
তিনি বলেন, 'অনেক চ্যালেঞ্জিং চরিত্র করেছি অনন্যাতে। অসাধারণ একটি গল্পে কাজ করে তৃপ্তি পেয়েছি। আসলে গল্প ও চরিত্র ভালো হলে দর্শকরা তা গ্রহণ করেন।'
Comments