দ্য টেলিগ্রাফের খবর

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডসের গ্রুপে বাংলাদেশ

ছবি: এএফপি

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপিং এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি আইসিসি। তবে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এরই মধ্যে দলগুলো জেনে গেছে তাদের গ্রুপ। আর তা প্রকাশও করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি। তাদের খবর অনুসারে, 'ডি' গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান আছে 'এ' গ্রুপে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। 'এ' গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তানের বাকি তিন প্রতিপক্ষ হলো আয়ারল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। 'বি' গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। 'সি' গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।

আগামী ১ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০টি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রতি গ্রুপে পাঁচটি করে দল রেখে তাদেরকে ভাগ করা হয়েছে চারটি গ্রুপে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল উঠবে সুপার এইট পর্বে।

তুলনামূলক বিচারে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। কারণ, একমাত্র 'ডি' গ্রুপেরই চারটি দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের পারফরম্যান্স ও র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এবার সরাসরি সুযোগ পেয়েছে। সবশেষ আসরের শীর্ষ আটের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস। সুপার টুয়েলভে তারা হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে।

বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা 'ডি' গ্রুপের একমাত্র দল হলো নেপাল। বাকি তিনটি গ্রুপেই আছে বাছাইয়ের লড়াইয়ে উতরে যাওয়া একাধিক দল। তারা হলো 'এ' গ্রুপের আয়ারল্যান্ড ও কানাডা, 'বি' গ্রুপের নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান এবং 'সি' গ্রুপের উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।

'এ' গ্রুপের সব খেলা হবে যুক্তরাষ্ট্রে। 'বি' ও 'সি' গ্রুপের সব ম্যাচের ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বাংলাদেশের গ্রুপের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। 'ডি' গ্রুপের খেলাগুলো হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলিয়ে।

সুপার এইটে ওঠা দলগুলো খেলবে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রথম পর্বের গ্রুপিং থেকেই ওই দুই গ্রুপের সম্ভাব্য একটি চিত্র পাওয়া যায়। কারণ, আগে থেকেই তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। 'এ১' ধরা হয়েছে ভারতকে, 'এ২' ধরা হয়েছে পাকিস্তানকে। একইভাবে ইংল্যান্ড 'বি১', অস্ট্রেলিয়া 'বি২', নিউজিল্যান্ড 'সি১', ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'সি২', দক্ষিণ আফ্রিকা 'ডি১' ও শ্রীলঙ্কা 'ডি২' হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়াতে নির্ধারিত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।

আগে থেকে নির্ধারিত অবস্থান অনুযায়ী, সুপার এইটের এক নম্বর গ্রুপে খেলবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এই গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে যুক্তরাষ্ট্রে। দুই নম্বর গ্রুপে খেলবে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।

এই আট দলের বাইরে কোনো দল সুপার এইটে উঠলে তারা বাদ পড়া দলটির নির্ধারিত অবস্থান গ্রহণ করবে। যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকার বদলে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব পার হলে তারা হবে 'ডি১', শ্রীলঙ্কার জায়গা নিলে টাইগাররা হবে 'ডি২'।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া সমর্থক ও পর্যটকদের আগে থেকে পরিকল্পনার সুযোগ দিতেই এমন পদ্ধতি। আইসিসি ইভেন্টে এটি অবশ্য নতুন কোনো ব্যাপার নয়।

এশিয়ার সাত দলের পাঁচটিরই ম্যাচ রাখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে এবং সেখানে অবস্থানরত বিশাল সংখ্যক এশিয়ান প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে এমনটা করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে 'সম্ভাব্য স্পর্শকাতর' বিবেচনায় আফগানিস্তানের কোনো ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Israel welcomes 'all help' in striking Iran

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

1d ago