নরসিংদীতে নৌকা প্রার্থীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচন, নরসিংদী, বাংলাদেশের নির্বাচন,
নরসিংদী ৩ আসনে মাছিমপুর ইউনিয়নের চৌঘরিয়া কেন্দ্রের গেটে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের গাড়িতে হামলার অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী ৩ আসনে মাছিমপুর ইউনিয়নের চৌঘরিয়া কেন্দ্রের গেটে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফজলে রাব্বি খান।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনার ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ভাই, ভাগিনার উপস্থিতিতে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিভিন্ন সভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাতটি হত্যা হবে, আমার ওপর হামলা তারই অংশ।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা আমার ওপর হামলা করে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছে, ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে, আমি প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

তিনি বলেন, 'জনগণের সিমপ্যাথি পেতে তিনি নিজের গাড়িতে নিজে হামলা করেছেন। আমার লোকজনের এসব করার প্রশ্নই ওঠে না। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাই আমার ও আমার লোকজনের কারো ওপর হামলা করার ক্ষমতা নেই।'

সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আরও বলেন, 'ফজলে রাব্বি খান ও তার লোকজন জোর করে নৌকায় সিল মেরে যাচ্ছে। বাধা দিলে উল্টো আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে।'

জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব বলেন, 'নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের ওপর হামলা হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পেরেছি, তার ব্যক্তিগত গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার কারা জড়িত আমরা জানি না, এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।'

রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম বলেন, 'আমাদের কাছে উভয় পক্ষ একে অপরর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সিল মারার অভিযোগ করছে। আমরা বিজিবিসহ বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। কাউকে অবৈধভাবে সিল মারার সুযোগ দিচ্ছি না। উভয় পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago