‘ভোট দিয়ে এসে হাতে কালি দেখালে রেশন কার্ড পাবেন’

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন ২০২৪
ভোট দেওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করছেন ভোটাররা। বনানী মডেল স্কুল থেকে ছবিটি তোলা। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

ঢাকা-১৭ আসনের কড়াইল বস্তিতে ভোটার রয়েছে ২৭ হাজার ৩০১ জন।

আজ সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর প্রথম চার ঘণ্টায় বিটিসিএল কলোনি ভোট কেন্দ্রে (পুরুষ) ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে চার ঘণ্টায় বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রে (নারী) ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ।

সরেজমিনে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাগরিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভোটারদের কেন্দ্রে আনছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, 'আমাদেরকে বলা হয়েছে আপনি ভোট দিয়ে এসে হাতে কালি দেখাবেন। তাহলে রেশন কার্ড রিনিউ হবে, নাহলে হবে না। যাদের রেশন কার্ড নেই তারা আঙ্গুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে রেশন কার্ড করে দেওয়া হবে বলেছেন।'

আরেক বাসিন্দা বলেন, 'আমাদেরকে বলা হয়েছে, আপনারা নাগরিক সুবিধা পান। সেজন্য ভোট দিবেন। যাকে ইচ্ছা হয় তাকে দিবেন।'

কড়াইল বস্তির অনেক ভোটারকে বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রে (নারী) দীর্ঘ সময় ধরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে এক ভোটার বলেন, 'আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে আসার জন্য বলা হয়েছে।'

কড়াইল বস্তির জামাইবাজারের এক বাসিন্দা বলেন, 'আমার পরিবারে ৭ জন ভোটার। এ আসনে আমাদের কোনো পছন্দের প্রার্থী নেই। কিন্তু বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে অবশ্যই ভোট দিতে বলা হয়েছে।'

'আমাদের বলেছে, "বস্তিতে সরকারি জায়গায় থাকবেন, সরকারি সুবিধা নিবেন আর ভোট দিবেন না তা তো হবে না"। এই ধরনের চাপের কারণে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের কোনো প্রার্থী না থাকায় ভোট দেইনি। কিছুক্ষণ থেকে চলে এসেছি।'

বস্তির ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন কড়াইল বস্তির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ১৯ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুস সোবহান।

তিনি বলেন, 'আমরা জরিপ করে দেখেছি বস্তিতে ২৭ হাজার ৩০১ জন তালিকাভূক্ত ভোটারের মধ্যে ১৪ হাজার ২৯০ ভোটার বর্তমানে আছেন। বাকিরা অন্য স্থানে চলে গেছেন। এই ১৪ হাজার ভোটার যেন ভোট দিতে আসেন সেজন্য আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি।'

'কোনো দলের জন্য নয়। মার্কা যাই হোক না কেন তারা যেন ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেন এটাই আমরা তাদের বলছি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago