উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা
জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস হলেও এ বছর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত তেমন ছিল না। কিন্তু কাল রাত থেকে শুরু করে আজ বুধবার সারাদিন রাজশাহী ও রংপুরের জেলাগুলোতে তীব্র শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তরবঙ্গের জেলা নওগাঁর বদলগাছী ও চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ডিমলায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমান খুব বেশি নিচে না নামলেও আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘন কুয়াশা ও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণে হঠাৎ করে সারাদেশেই শীতের প্রকোপ বেড়েছে।
আজ সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত গাইবান্ধা ও বগুড়ার আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। এরপর সামান্য সময়ের জন্য সূর্য দেখা গেলেও তা ছিল নিরুত্তাপ।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা গ্রামের রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'গত রাত থেকেই কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট দেখা যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে সূর্যের দেখা নেই সারাদিন। তবে হঠাৎ করে ঠান্ডা বাতাসের কারণে বেশি শীত লাগছে। লোকজনের দেখা নেই। সারাদিনে ভাড়া হয়েছে মাত্র ৩০০ টাকা।'
একই উপজেলার কলাকাটা হামছাপুর গ্রামের কৃষক আজাদ উদ্দিন বলেন, '২ বিঘা জমিতে আজ থেকে বোরো ধান লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু শীতের কারণে শ্রমিক পাচ্ছি না আজকে। ঠান্ডা পানিতে দীর্ঘ সময় আমি নিজেও কাজ করতে পারছি না।'
বগুড়া গাবতলী উপজেলার উপজেলার সৈয়দ আহমেদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার বলেন, 'আজকে শীতের কারণে কলেজে শিক্ষার্থী কম এসেছে। আবার ক্লাস না করেই অনেক বাড়ি চলে গেছে।'
বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার পাখির চরের কৃষক সুজন আলী বলেন, 'আজ সকালে ভুট্টার জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলাম। এত কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে কাজ করা কঠিন হয়ে গেছে।'
শীতের তীব্রতার কারণে জানতে চাইলে ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘন কুয়াশা ও উত্তর-উত্তর পশ্চিম থেকে ঠান্ডা বায়ু প্রবাহের জন্য হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।'
ঘন কুয়াশা আর কতদিন থাকবে জানতে চাইলে নেওয়াজ বলেন, 'আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এটা শৈত্যপ্রবাহ নয়।'
Comments