সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আবারও করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

স্টার ফাইল ফটো

দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এর জন্য ফাইজারের প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার (তৃতীয় ও চতুর্থ) টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শিগগির শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদে রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং সন্তানসম্ভবা নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকার ক্ষেত্রে ফাইজার আরটিইউ ব্যবহার করা হবে।

প্রাথমিকভাবে মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নয়াবাজারের ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া হবে।

এ ছাড়া, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের আটটি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ ফাইজার ভিসিভি টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল।

এরপর ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে টিকা বিতরণের মাধ্যমে কোডিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার প্রমাণস্বরূপ টিকার নাম ও তারিখ উল্লেখ করে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ড সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে দেওয়া হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ টিকার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে টিকাকার্ড ডাউনলোড করে সঙ্গে আনতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

13h ago