লালমনিরহাট

ভ্যান চুরির জেরে গলাকেটে হত্যা: পুলিশ

হত্যাকাণ্ড তদন্তে পুলিশ ও সিআইডি টিম কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটে আরেক ভ্যানচালককে গলাকেটে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। হত্যার পর ধরবিহীন মরদেহ ফেলে রাখা হয় ভুট্টাখেতে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে নির্মম এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এসব তথ্য জানান।

গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে ভ্যানচালক মানিকুল ইসলামের (২৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন একই ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত খাল থেকে নিহত মানিকুলের মাথা উদ্ধার করা হয়।

হত্যায় অভিযুক্ত আরেক ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলাম (৩৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, মানিকুল ও সিরাজুল দুজই ভ্যানচালক। কয়েকদিন আগে তারা একই গ্রামের আরেক ভ্যানচালক বাবলু মিয়ার ভ্যান চুরি করেন। বাবলুর অভিযোগের পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানিকুলের ভ্যানটি ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখেন। পরে বাবলুর ভ্যানটি চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছে দেয় সিরাজুল। এ ঘটনায় সিরাজুল ভ্যান চুরি করেছে বলে ছড়িয়ে পড়ে। কেবল নিজের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মানিকুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন সিরাজুল। গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে মানিকুলকে নিয়ে রমনীগঞ্জ গ্রামে যান নিরাজুল। সেখানে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে মানিকুলকে অচেতন করে ভুট্টাখেতে নিয়ে মানিকুলের ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।

নিহত মানিকুল হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গীমারী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল একই গ্রামের আসের মাহমুদের ছেলে।

গত মঙ্গলবার ভোরে সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিহত ভ্যানচালক মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা বেগম (২১) বলেন, তার স্বামী ভ্যান চুরির সঙ্গে জড়িত নয়। শুধু রাগ আর ক্ষোভ মেটানোর জন্য তার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি এই হত্যার সর্বোচ্চ বিচার চাই'।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago