সোমালি জলদস্যুদের হাতে আটক ইরানি জাহাজ ও ১৯ পাকিস্তানি ক্রু উদ্ধার

ভারতের নৌবাহিনীর অভিযানে আটক হন ১১ সোমালি জলদস্যু। ছবি: ভারতের নৌবাহিনীর মুখপাত্র/এক্স
ভারতের নৌবাহিনীর অভিযানে আটক হন ১১ সোমালি জলদস্যু। ছবি: ভারতের নৌবাহিনীর মুখপাত্র/এক্স

ভারতের রণতরী আইএনএস সুমিত্রা জলদস্যুদের হাতে আটক ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার করেছে। সোমবার সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে পাকিস্তানি নাবিক ও তাদের মাছ ধরার জাহাজটিকে অপহরণ করে জলদস্যুরা।

আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় অভিযান।  

১১ জন সশস্ত্র জলদস্যু ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজ এফভি আল নাঈমির ডেকে চড়ে বসেন এবং জাহাজের ১৯ ক্রুকে জিম্মি করেন। ক্রুদের সবাই পাকিস্তানি নাগরিক। ভারতের নৌবাহিনীর রণতরীটি এই মাছধরার জাহাজের গতিপথ রুদ্ধ করে দেয় এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে জলদস্যুদের বাধ্য করে।

পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা জাহাজ পরিদর্শন করেন এবং ক্রুদের খোঁজখবর নেন।

এক দিন আগেই রণতরী আইএনএস সুমিত্রা ইরানের পতাকাবাহী অপর একটি মাছ ধরার জাহাজের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। এফভি ইমান নামের জাহাজটিকেও সোমালি জলদস্যুরা অপহরণ করে। পরবর্তীতে ১৭ জন ইরানি ক্রুকে উদ্ধার করা হয়।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ এফভি আল নাঈমি। ছবি: ভারতের নৌবাহিনীর মুখপাত্র/এক্স
জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ এফভি আল নাঈমি। ছবি: ভারতের নৌবাহিনীর মুখপাত্র/এক্স

নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, '৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে আইএনএস সুমিত্রা দ্রুত, অবিচল ও নিরলস উদ্যোগের মাধ্যমে দুইটি অপহরণকৃত মাছ ধরার জাহাজ ও জাহাজের ৩৬ ক্রু (১৭ ইরানি ও ১৯ পাকিস্তানি) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কোচি থেকে প্রায় ৮৫০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে, দক্ষিণ আরব সাগরে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যাতে এই মাছধরার জাহাজগুলোকে পরবর্তীতে অপর কোনো বাণিজ্যিক নৌযানের বিরুদ্ধে জলদস্যুতায় 'মাদার শিপ' হিসেবে ব্যবহার করা না যায়'।

আইএনএস সুমিত্রা হচ্ছে ভারতের নৌবাহিণীর উপকূল প্রতিরক্ষা জাহাজ। এর মূল দায়িত্ব হচ্ছে সোমালিয়ার পূর্বাঞ্চল ও এডেন উপসাগরে জলদস্যুতা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Shahjalal nternational Airport Terminal-3: Operations face further delay

The launch of Dhaka airport’s third terminal faces a further delay, as the Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) is still negotiating an operation and maintenance agreement -- a prerequisite for starting services -- with a Japanese consortium.

5h ago