এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা পায়নি পিবিআই

এফআর টাওয়ার
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার ফাইল ফটো

রাজধানীর বনানীতে বহুতল এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুলের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ওই অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ জন আহত হয়।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম মামলার অভিযোগ থেকে জামিনে থাকা মুকুলকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

তবে, জমির মালিক এসএমএইচআই ফারুকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

এর মধ্যে ভবনের অন্যতম মালিক ফারুক, তাসভীর উল ইসলাম এবং জামিনে থাকা এফআর টাওয়ারের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুর রহমান আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

চার্জশিটে পলাতক দেখানো হওয়ায় অপর পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এছাড়া, এর আগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১২ মার্চের মধ্যে জমা দিতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, রূপায়ন গ্রুপ ২০০৮ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ করে।

পরে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করে এবং ২০০৭ সালের ৬ জুলাই জমি ও ফ্ল্যাট মালিকদের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে। এরপর জমি ও ফ্ল্যাটের মালিকরা ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কাজ চালিয়ে যান।

গত ৩০ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় অবহেলা এবং বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপপরিদর্শক মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে জমির মালিক এসএমএইচআই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকুল, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাসভীরুল ইসলাম ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি আদালত ভবনের নকশা জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

তারা হলেন-রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, এফআর টাওয়ারের ইজারাদার এসএমএইচআই ফারুক ও মুকুল।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago