বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে সফটওয়্যার ডেভেলপার বেড়েছে ৬৬.৫ শতাংশ: গিটহাব

২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ এ বৈশ্বিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বাংলাদেশ। প্রতীকী ছবি: স্টার
২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ এ বৈশ্বিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বাংলাদেশ। প্রতীকী ছবি: স্টার

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম গিটহাবের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ এ বাংলাদেশে সফটওয়্যার ডেভেলপার বেড়েছে ৬৬.৫ শতাংশ। 

ইনোভেশন গ্রাফ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৮ জানুয়ারি গিটহাব এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে প্লাটফর্মটিতে নিবন্ধিত বাংলাদেশি ডেভেলপার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এই পরিমাণে বেড়েছে। 

গিটহাব প্ল্যাটফর্ম সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, গিটহাবে নিবন্ধিত বাংলাদেশি ডেভেলপারের সংখ্যা আগের বছরের পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ থেকে বেড়ে নয় লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৬ হয়েছে।

কিন্তু গিটহাবের দেওয়া তথ্যের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রথমত, তারা প্রবৃদ্ধি বোঝানোর ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কোডের পরিমাণের পরিবর্তে নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা হিসাব করে থেকে।

যার ফলে ডেভেলপারদের মধ্যে অনেকেই কম সক্রিয় থাকতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে এটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের সামগ্রিক ও প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে পারে না।

নিবন্ধিত ডেভেলপারের সংখ্যা বাড়তে থাকার এই ধারা থেকে বলা যায়, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্বের সব মানুষের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশ আরও বড় আকারে যুক্ত হয়েছে । সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে বাংলাদেশে এগিয়ে যাওয়ায় পশ্চিম ও এশিয়ার অন্যান্য বাজারে প্রথাগত প্রাযুক্তিক আধিপত্যের ধারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে, যা ডিজিটাল ক্ষেত্রে একটি বিশ্বব্যাপী উদীয়মান অর্থনীতির জেগে ওঠার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত দেয়।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন আহমেদ বিন কাদের অনি

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago