২০২৫ থেকে সিঙ্গাপুরে বিদেশি কর্মকর্তা নিয়োগে আরও কড়াকড়ি

সিঙ্গাপুরের মার লায়ন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সিঙ্গাপুরের মার লায়ন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সিঙ্গাপুরে বিদেশি কর্মকর্তা নিয়োগের আইন আরও কঠোর হতে যাচ্ছে।

আজ সোমবার সরকারি ঘোষণার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বিদেশী নাগরিকদের বেতন মাসে অন্তত পাঁচ হাজার ৬০০ সিঙ্গাপুর ডলার (চার হাজার ১৭০ মার্কিন ডলার) বা তার চেয়ে বেশি হলেই কেবল তাদেরকে নিয়োগ ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

সাধারণত দেশটিতে কর্মরত উচ্চ বেতনভুক্ত বিদেশী পেশাদার কর্মকর্তাদের এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়ে থাকে। আগে ন্যুনতম বেতনের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার।

আর্থিক খাতে যারা কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম বেতনের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে ছয় হাজার ২০০ সিঙ্গাপুর ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।

দেশটির জনসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যাদের কাছে ইপি (এমপ্লয়মেন্ট পাস বা নিয়োগ ছাড়পত্র) থাকবে, তারা উচ্চমানসম্পন্ন কর্মকর্তা হবেন। এ ছাড়া, স্থানীয়দের জন্য সমান সুযোগ তৈরি (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করার জন্যেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

সিঙ্গাপুর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আর্থিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এখানে অনেক বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের আঞ্চলিক সদর দপ্তর স্থাপন করেছে।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে বিদেশি শ্রম একটি স্পর্শকাতর বিষয়। তারা মনে করেন, বেশিরভাগ উঁচু পদের চাকরির জন্য তাদেরকে বিদেশিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়।

গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের মোট ১৫ লাখ বিদেশি কর্মীর মধ্যে এক লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ জনের কাছে এমপ্লয়মেন্ট পাস ছিল। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫৯ লাখ।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর থেকে এ নিয়ে তিনবার বিদেশি কর্মী নিয়োগে ন্যুনতম বেতনের পরিমাণ বদলান হল। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে এটা মাসে চার হাজার ৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

4h ago