ভাষাগত সমস্যা সামাল দিচ্ছেন বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচ

Andre Adams

নতুন পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের ইংরেজি বাচনভঙ্গি এবং বাংলাদেশের পেসারদের বলার ধরণে আছে বিস্তর ফারাক। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার বাংলাদেশের চাকরি নিয়ে তাই কিছুটা ভাষাগত সমস্যায় ভুগছেন। খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলামদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে সাহায্য নিচ্ছেন দলের ম্যানেজার নাফীস ইকবালের।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর অ্যালান ডোনাল্ড বিদায় নিলে পেস বোলিং কোচের পদ শূন্য হয় বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাডামসকে। তিনি আসার পর থেকে খেলার মধ্যে আছেন পেসাররা। আলাদা করে তাই সবাইকে নিয়ে কাজ করা হয়নি তার।

শুক্রবার সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন পর প্রথমবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেন অ্যাডামস। ভারি কণ্ঠের এই কোচের যেমন বাংলাদেশিদের ইংরেজি উচ্চারণ বুঝতে সমস্যা হচ্ছে, তার কথাও পেসাররা ঠিকমতো বুঝতে ধুঁকছেন।

অ্যাডামস নিজেই জানান এই সমস্যা সামাল দিতে তাকে সাহায্য করছেন দলের ম্যানেজার, 'তাদেরকে উন্নত করা আমাদের কাজের অংশ। কঠিন ব্যাপার হলো ওরা খেলার মধ্যেই আছে, ওদের খেলার মধ্যেই উন্নতি করাতে হচ্ছে। ভাষাগত সমস্যাও সামাল দিতে হচ্ছে। আমরা যা দেখছি এবং তারা যা বুঝছে, সব সময় তা এক হয় না। (দলের ম্যানেজার) নাফীস (ইকবাল) আমাকে এই ব্যাপারে কিছুটা সাহায্য করছে।'

শুরুতে এসেই স্কিল নিয়ে কাজের পরিধি বাড়াচ্ছেন না এই কোচ। পেসারদের সহজাত দক্ষতার উপর আস্থা রেখে ধীরে ধীরে এগুতে চান তিনি, 'তারা যাতে বেশি চাপ নিয়ে না ফেলে সেটার ব্যাপারে আমি সচেতন আছি। এই পর্যায়ে আসতে তারা কিছু প্রক্রিয়া পার করেছে। আমি তাদের সেটাই অনুসরণ করতে বলছি। আমার কাজ হচ্ছে তাদের উন্নতি ঘটানো।'

অ্যাডামসের উপস্থিতিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ করেন পেসাররা। দলকে সিরিজ জেতাতে তারা রাখেন মুখ্য ভূমিকা।

সিলেটে টেস্টের প্রথম দিনেও দেখা গেছে পেসারদের দাপট। বোলিং বেছে খালেদ আহমেদের তোপে ৫৭ রানেই শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট ফেলে দেয় বাংলাদেশ। কামিন্দু মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে সফরকারীরা প্রতিরোধ গড়লেও তাদের তিনশোর ভেতর আটকে দেওয়া গেছে। তিন পেসার মিলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট।

ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পেসারদের নিয়ে বেশ খুশি অ্যাডামস,  'আমি রোমাঞ্চিত এখানে কাজ করতে পেরে। খালেদ, সাকিবের (তানজিদ হাসান) মতো পেসার আছে, ওরা শেখার জন্য মুখিয়ে আছে। যারা আছে, তাদের নিয়ে আমি যথেষ্ট খুশি।'

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance crosses $30 billion for first time

Inward remittance rises 26.5% in Jul–Jun period

1h ago