ট্রাম্পকে আপাতত সাড়ে ১৭ কোটি ডলার পরিশোধের নির্দেশ

আদালতে শুনানি শেষে ওয়াল স্ট্রিটে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি (২৫ মার্চ, ২০২৪)
আদালতে শুনানি শেষে ওয়াল স্ট্রিটে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি (২৫ মার্চ, ২০২৪)

নিউইয়র্কের একটি প্রতারণা মামলার রায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই জরিমানা পরিশোধ অথবা সমপরিমাণ অর্থের বন্ড দেওয়ার সময়সীমা ছিল সোমবার। 

গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শেষ মুহূর্তে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা বা সমপরিমাণ অর্থের বন্ড দেওয়ার বাধ্যবাধকতা কমিয়ে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার করেছেন নিউ ইয়র্কের এক আদালত।

এর আগে ট্রাম্প ৪৬ কোটি ডলার নগদ অর্থ বা সমমানের বন্ড দিতে অপারগ বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবীরা।

আপিল আদালত সংশোধিত মূল্যমানের (সাড়ে ১৭ কোটি ডলার) বন্ড জমা দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে বাড়তি ১০ দিন সময় দিয়েছে।

তিনি যদি এই সময়সীমার মধ্যে এই বন্ডটি জমা দিতে পারেন, তাহলে আপিল প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় তার ভৌত সম্পদ সুরক্ষিত থাকবে।

সোমবার ট্রাম্প বলেন, 'আমি এই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনে চলব এবং বন্ড, সমপরিমাণ সিকিউরিটি অথবা নগদ অর্থ জমা দেব।'

৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বন্ড জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার সময় সোমবারের এই রায়কে ট্রাম্পের জন্য বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এই সময়সীমার মধ্যে বন্ড জমা না দিতে বা আপিল আদালত এই উদ্যোগ না নিলে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস ট্রাম্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ও ভৌত সম্পত্তি বিক্রি বা নিলামের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ আদায় করার এখতিয়ার অর্জন করতেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেছিলেন লেটিশিয়া।

সোমবার লেটিশিয়া জেমস জানান, 'ট্রাম্পকে তার পর্বতপ্রমাণ প্রতারণার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।'

'ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানার রায় এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে। সুদসহ এই জরিমানা আদায় করা হবে', যোগ করেন তিনি।

জরিমানার পাশাপাশি অন্যান্য শাস্তিও বিলম্বিত করেছে আপিল আদালত। এর মধ্যে আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার সন্তানদের নিউইয়র্কে কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।

আদালতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিচ্ছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি (২৫ মার্চ, ২০২৪)
আদালতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিচ্ছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি (২৫ মার্চ, ২০২৪)

ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি, নিউইয়র্কের বিচারক আর্থার এনগোরান ট্রাম্পকে এই অঙ্গরাজ্যে তিন বছরের জন্য যেকোনো ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা থেকে নিষিদ্ধ করেছিলেন।

বিচারে প্রমাণ হয়, ট্রাম্প বেশি পরিমাণে ঋণ পাওয়ার জন্য নিউইয়র্কে তার কিছু ভৌত সম্পদের দাম বাড়িয়ে বলেছেন, যা এক ধরনের প্রতারণা।

রয়টার্স তিন জন উৎসের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, রিপাবলিকান পার্টির কয়েকজন মূল পৃষ্ঠপোষক ও দাতা ট্রাম্পের জরিমানার অর্থের জোগান দেওয়ার জন্য নেপথ্যে কাজ করছেন।

বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা খাতের কোটিপতি ব্যবসায়ী জন পলসন এই উদ্যোগে নেতৃত্বও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তেল-গ্যাস খাতের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হ্যারল্ড হ্যামও এর সঙ্গে জড়িত আছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে উতসরা।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

7h ago