ট্রাকচাপায় বন কর্মকর্তার মৃত্যুতে হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার ১

বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে ট্রাকচাপায় বন কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তা ছিলেন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলায়। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযানে গিয়ে ডাম্প ট্রাকে চাপা পড়ে নিহত হন তিনি। এ সময় বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) আহত হন।

এই ঘটনায় বনবিভাগের উখিয়া রেজ্ঞ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার ডাম্প ট্রাক চালক মো. বাপ্পী (২৩), একই এলাকার ছৈয়দ আলম (৪০) ও তার ছেলে মো. তারেক (২০), হেলাল উদ্দিন (২৭), হরিণমারা এলাকার ছৈয়দ করিম (৩৫), একই এলাকার আনোয়ার ইসলাম (৩৫), শাহ আলম (৩৫), হিজলিয়া এলাকার মো. বাবুল (৫০), একই এলাকার মো. রুবেল (২৪) ও হরিণমারা এলাকার কামাল উদ্দিন ড্রাইভার (৩৯)। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছৈয়দ করিম।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মিনি ট্রাকে (ডাম্পার) করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে নিজের মোটর সাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যান সাজ্জাদুজ্জামান। এ সময় মাটি পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) আহত হন। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। একজন আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago