বান্দরবানে যৌথ অভিযান, আজ পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার তিনটি ব্যাংকে হামলা ও একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণের পর যৌথ অভিযান শুরু হয়। ফাইল ছবি সংগৃহীত

বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।

রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও ব্যাংকের অপহৃত ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পর থেকেই যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

গতকাল এক সংবাদ সম্মলেন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এদিকে আজ বান্দরবানের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

র‍্যাব জানায়, যৌথ অভিযান কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ অংশ নিচ্ছে।

গত ২ ও ৩ এপ্রিল ঘটে যাওয়া রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের কিছু উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের এই পরিচালক আরও বলেন, তাদের উদ্দেশ্য প্রথমত, টাকা লুটপাট ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, সক্ষমতা প্রদর্শন করা। তৃতীয়ত,  পাশ্ববর্তী দেশের বিদ্রোহী বিভিন্ন গ্রুপের কাছে একটা গ্রহণযোগ্যতায় বিবেচনায় নজরে আনা।

সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিন উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা সম্পর্কে খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, সম্মিলিত সাঁড়াশি অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। লুট করে নেওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারসহ তাদের নির্মূল করা হবে।

বান্দরবানের দুই উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে গতকাল কারা গুলি চালিয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

২০২২ সালের মাঝামাঝিতে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় তৎপরতা শুরু করে। তাদের বিরুদ্ধে সমতলের জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাহাড়ের গোপন আস্তানায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই বছরের অক্টোবরে কেএনএফ ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে। পরে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা পরিষদের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ২৯ মে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। গত বছরের ৫ নভেম্বর ও গত ৫ মার্চ দুই দফা কমিটির বৈঠকে কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Israel welcomes 'all help' in striking Iran

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

1d ago