থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বান্দরবানের থানচি বাজারে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় থানচি থানায় দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহীন।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই চারজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহার করা একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন—ভান্নুন নুয়াম বম, জেমিনিউ বম, আমে লনচেও বম ও গাড়িচালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগর।

এসপি অফিস থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১২টা ৪০ মিনিটে বান্দরবানে থানচি থানাধীন সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করে অস্ত্রের মুখে ব্যাংকে ভেতরে  উপস্থিত লোকজনদেরকে জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংক থেকে অনুমানিক তিন লাখ টাকাসহ ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত গ্রাহকের কাছ থেকে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫টি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করে ত্রাস সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল থেকে পশ্চিম দিকে শাহাজাহান পাড়াস্থ পাহাড়ি এলাকার দিয়ে চলে যায়।

এর আগে ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় একটি সশস্ত্র ডাকাত দল। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ। 'মুক্তিপণ দেওয়া'র পর গত ৫ এপ্রিল মুক্তি পান ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন।

বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে গত ৩ এপ্রিল জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত বান্দরবানের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশের যৌথ অভিযান চলবে বলে গতকাল জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

Comments

The Daily Star  | English

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

51m ago