আমার বাবার হত্যার বিচার চাই: এমপি আনারের মেয়ে

ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেছেন।

আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডরিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার বাবাকে কে এবং কেন হত্যা করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমি এর শেষ দেখতে চাই। কেন তারা আমার বাবাকে মেরেছে? আমার বাবার খুনিদের ফাঁসি দেখতে চাই।'

'আমি মামলা করব। আমি প্রধানমন্ত্রী, ডিএমপি কমিশনার ও ডিবি প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন,' বলেন তিনি।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদ্দেশে ডরিন বলেন, 'আমার একটাই অনুরোধ, আমার বাবার হত্যার ন্যায়বিচার করুন। একসময়, আমার বাবা মিথ্যা মামলার কারণে ১৪ বছর পলাতক ছিলেন। আমি তখন খুব ছোট ছিলাম। এখন আবার তাকে হারালাম।'

এমপি আনারের সঙ্গে পরিবারের শেষ যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'বাবার সঙ্গে শেষ ভিডিও কলে কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ভারতে যাচ্ছেন এবং দুয়েকদিনের মধ্যে ফিরে আসবেন।'

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান তিনবারের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৭ মে থেকে তার পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ১৮ মে তার নিখোঁজের বিষয়ে উত্তর কলকাতার বরানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতে খুন হয়েছেন বলে আজ সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে বাংলাদেশের কয়েকজন অপরাধী নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

ডিবি প্রধান বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। আমরা নিবিড়ভাবে ভারতের পুলিশের সঙ্গে কাজ করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কাছে কয়েকজন আটক আছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেক তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা তথ্যগুলো এখনই প্রকাশ করছি না।'

'আমরা মনে করি বাংলাদেশের একজন এমপিকে বাংলাদেশের কিছু অপরাধী যেভাবে হত্যা করেছে, আমরা কয়েকজনকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আরও যারা আছে, তাদের প্রত্যেককে আমরা বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাব,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Rohingyas hurt in clash in Teknaf

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

11h ago