গাবতলী হাটে শেষ মুহূর্তে পড়ে গেল গরুর দাম

গাবতলী গরুর হাট। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

ঢাকার গাবতলীতে শেষ দিনে সকাল থেকে দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও শেষ সময়ে এসে ক্রেতা সংকটে কম দামে গরু বিক্রি করে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ সারাদিন গাবতলী হাট ঘুরে দাম ওঠানামার এই চিত্র দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা জানান, বিকেলের দিকে গরুর দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল। একদিন আগের তুলনায় ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার প্রতিটি গরু এদিন বিকেলে ১০-১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়। পরিস্থিতি দেখে অনেক বিক্রেতার রাতে বাজার আরও তেজি হওয়ার আশা করেছিলেন। তবে এই আশায় যারা গরু ধরে রেখেছিলেন তাদের হতাশ হতে হয়েছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার সবচেয়ে বড় গরুর এই হাটে দাম পড়ে যায়। এর জন্য ক্রেতা সংকট ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে গরু সরবরাহ বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ রাতে গাবতলী হাটে অন্তত ৩০ জন গরু বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার। রাত ১১টার দিকে তারা জানান, বিকেলেও যে গরুর দাম এক লাখ টাকা ছিল এখন সেটা ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে; আর দেড় লাখের গরুর দাম নেমে হয়েছে ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

গরুর ব্যাপারী আনোয়ার হোসেন ছয়টি গরু নিয়ে এসেছিলেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা থেকে। গত দুই দিনে চারটি গরু বিক্রি করেন তিনি। শেষ দিনে একটু বেশি লাভের আশায় দুটি গরু রেখে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন বিকেলে একটি গরুর দাম ১ লাখ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছিলেন ক্রেতা। কিন্তু ১ লাখ ৫ হাজারের নিচে গরু বিক্রি না করার ব্যাপারে অনড় ছিলেন তিনি। রাত ১১টার দিকে সেই গরুই মাত্র ৮৪ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাটে এখনো কয়েক হাজার গরু অবিক্রীত আছে। কিন্তু সেই তুলনায় প্রকৃত ক্রেতার সংখ্যা কম। এ কারণে লোকসান আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গরু বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।

সকালে দাম দেখে মানিকগঞ্জ থেকে ৯টি গরু এনেছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার গরুর ট্রাক হাটে এসে পৌঁছায়। তিনি বলেন, গতবার ব্যবসায় লোকসান হয়েছিল তার। এবার বেশি লাভের আশায় গাবতলীতে গরু এনেছিলেন তিনি। মানিকগঞ্জে বিক্রি করলে হয়ত গরু প্রতি ৫-১০ হাজার টাকা লাভ হতো। এখন লোকসান গুণতে হলো তাকে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago