খাদ্য অপচয় ৫০ শতাংশ কমানো গেলে বাঁচবে ১৫ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

এ ছাড়া, খামার থেকে খাদ্য টেবিলে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় অপচয়ের পরিমাণ কমালে ‘২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিখাত থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণ চার শতাংশ কমানো ও ১৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অপুষ্টি থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।’
দক্ষিণ সুদানে ডব্লিউএফপির খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় নারী ও শিশুরা। রয়টার্স ফাইল ফটো

সারা বিশ্বে প্রতিদিন উৎপাদিত খাদ্যের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই পরিমাণটি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারলে ১৫ কোটি ৩০ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) যৌথ প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ খাদ্য অপচয়ের কারণে যাদের খাদ্যের প্রয়োজন, তারা তা পাচ্ছে না এবং পরিবেশে বাড়তি কার্বন নি:সরণ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, নিম্ন-আয়ের দেশের মানুষ সারা বছর যে পরিমাণ খাদ্য খেতে পান (ক্যালরি মানে), উৎপাদিত খাদ্য খামার থেকে দোকান ও বাড়িতে পৌঁছানোর সময়য় তার দ্বিগুণ পরিমাণ (ক্যালরি) নষ্ট হয়।

এ ছাড়া, খামার থেকে খাদ্য টেবিলে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় অপচয়ের পরিমাণ কমালে '২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিখাত থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণ চার শতাংশ কমানো ও ১৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অপুষ্টি থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।'

প্রতিবেদনে বলা হয়, ' নিঃসন্দেহে এটি একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যারা খাদ্য উৎপাদন করেন এবং যাদের জন্য তা উৎপাদন করা হয়, তাদের উভয়কেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।'

বর্তমানে বিশ্বের মোট গ্রীনহাউস গ্যাস নি:সরণের ২০ শতাংশই আসে কৃষিখাত ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে।

প্রতি বছর উৎপাদিত খাবারের এক তৃতীয়াংশ অপচয় হয়। ছবি: রয়টার্স
প্রতি বছর উৎপাদিত খাবারের এক তৃতীয়াংশ অপচয় হয়। ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমানোর অঙ্গীকার করেছে।

তবে উৎপাদনকারীদের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের কোনো বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নেই।

পচনশীল হওয়ার কারণে ২০২১ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে খাদ্য অপচয়ের অর্ধেকেরও বেশি ছিল ফল ও সবজি।

২৫ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য-শস্য।

এফএও'র প্রাক্কলন মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে।

প্রতিবেদন মতে, 'খাদ্য অপচয় কমাতে পারলে আরও বেশি মানুষের আওতায় আরও বেশি খাদ্য আসবে এবং সার্বিকভাবে খাদ্যের দাম কমে আসবে। যার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও ভালো করে খেতে পারবে।'

২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় অর্ধেকে কমিয়ে আনতে পারলে নিম্ন আয়ের দেশে খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ ১০ শতাংশ, নিম্ন-মধ্যবিত্ত দেশে ছয় শতাংশ ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত দেশে চার শতাংশ বাড়বে।

Comments

The Daily Star  | English

Protests Against Quotas: Students go for ‘Bangla Blockade’

Students demonstrating against quotas in government jobs are set to block key intersections in the capital and highways next to campuses across the country this afternoon.

10h ago