কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ৩ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১

এবিসি ঘোনা এলাকায় দুপুরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার শহরে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দিনে ও সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌর এলাকার কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

সবশেষ কলাতলী এলাকার সৈকতপাড়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাহাড় ধসে এক শিশু নিখোঁজ এবং এক পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছে।

পাহাড় ধসের ঘটনায় মারা গেছেন—ঝিলংঝা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার বজল আহমেদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৩৫), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনা এলাকার মো. করিমের স্ত্রী জামিলা বেগম (৩০) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার বাজার এলাকার মো. সাইফুলের ছেলে মো. হাসান (১০)।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভারী বর্ষণে এসব পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়।

মৃত দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার গৃহবধূ লায়লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার জানান, দুপুরে তার মা তার ভাইকে নিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। হঠাৎ তাদের রান্নাঘরের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। আহত মা আর ভাইকে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপর মৃত জামিলা বেগমদের বাড়িটি পাহাড়ের গোড়ায় অবস্থিত বলে জানান কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য্য। 

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাদের বাড়িতে মাটির বিশাল অংশ ধসে পড়ার সময় জামিলা রান্নাঘরে ছিলেন।'

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, সিকদার বাজারে পাহাড় ধসের কারণে মাটির দেয়াল ধসে হাসান চাপা পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়। 

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান জানান, মৃত তিনজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, লাউডস্পিকার ঘোষণার মাধ্যমে ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি ঢালে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এর আগে, গত ২১ জুন বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে এক দম্পতির মৃত্যু হয়।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

14m ago