ফাইনালের আগে চোটের ‘ভয়’ কাটিয়ে ওঠার সুখবর দিলেন মেসি

ছবি: এএফপি

কোপা আমেরিকার শুরুর দিকে পায়ের মাংসপেশিতে চোট পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেটা থেকে সেরে উঠলেও মনের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছিল আর্জেন্টিনার অধিনায়কের। দলটির ভক্তদের জন্য আশার খবর হলো, ওই ভয় কাটিয়ে উঠেছেন অভিজ্ঞ তারকা। তিনি আশাবাদী, ইতোমধ্যে শারীরিক ছন্দ খুঁজে পাওয়ায় ফাইনালে আরও ভালো অবস্থায় থাকবেন।

চিলির বিপক্ষে এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চোট পান ৩৭ বছর বয়সী মেসি। তারপরও ব্যথা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। মাঠে ছিলেন পুরোটা সময়। পেরুর বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। সেরে উঠে শেষ ষোলোতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ফিরলেও মোটেও স্বস্তিতে ছিলেন না মেসি। রেকর্ড আটবারের ব্যালন দি'অর জয়ী ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্স ছিল একেবারে সাদামাটা। তবে সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে পুরনো রূপে দেখা যায় তাকে। সেদিন চলতি কোপায় নিজের প্রথম গোলের দেখা পান তিনি।

আগামীকাল সোমবার ফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। তার আগে ডি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানান, চিলির বিপক্ষে ম্যাচের পর ভুগছিলেন তিনি, 'কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে আমি শারীরিকভাবে দারুণ ছন্দে ছিলাম। কিন্তু চিলির বিপক্ষে আমার পায়ের উরুতে পেশিতে সমস্যা হয়েছিল। তারপর আমি আর স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারিনি। আমি গতি হারিয়ে ফেলেছিলাম। যখন আমাকে উঠে দাঁড়াতে হচ্ছিল কিংবা আড়াআড়ি দৌড়াতে হচ্ছিল, তখন আমার সমস্যা হচ্ছিল।'

চোট কাটিয়ে ফিট হওয়ার পরও ভয় কাজ করছিল মেসির মধ্যে। সেমিফাইনালের পারফরম্যান্সে তা দূর হয়ে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে আরও ভালো খেলার জন্য তাকিয়ে আছেন তিনি, 'ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে আমি খেলার জন্য ফিট হয়েছিলাম। যদিও আমি চোট থেকে সেরে উঠেছিলাম, আমার মাথায় চলছিল যে, আমার কোনো একটা সমস্যা হচ্ছে। তবে সবশেষ ম্যাচে আমি সেই ভয় আমি কাটিয়ে উঠি। আমি তখন সুস্থ অনুভব করছিলাম। আর ফাইনালে আমি আরও ভালো অবস্থায় থাকব।'

ফাইনালে মাঠে নামলেই রেকর্ড গড়বেন বিশ্বকাপজয়ী মেসি। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পাঁচবার কোপার ফাইনালে খেলবেন তিনি। এই তালিকায় সাবেক সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানোর সঙ্গে এখন যৌথভাবে শীর্ষে আছেন। দুজনই চারবার করে ফাইনালে খেলেছেন। ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের আসরে রানার্সাপ হওয়ার যন্ত্রণার পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল ২০২১ সালের কোপায়।

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

11h ago