মেসির চোট কতোটা গুরুতর?

চেজ স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে লিগস কাপের ম্যাচে নেকাক্সার বিপক্ষে এক তিক্ত-মধুর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে ইন্টার মায়ামি। নাটকীয় এক জয় পেলেও ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় দলটি, মাত্র ১১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। তার হতাশ মুখ দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় গ্যালারি, উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে সমর্থকদের মাঝে।
ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি অনুভব করেন মেসি। আগেও অনেকবার দেখা গেছে, হালকা চোট পেলেও মেসি অন্তত প্রথমার্ধ খেলে শেষ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার শুরুতেই নিজে থেকেই খেলা বন্ধ করে মাঠ ছাড়েন, যা ভক্তদের জন্য ছিল অস্বাভাবিক এবং হতাশাজনক।
তবে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো জানান, 'মেসি হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। তবে এটি গুরুতর কোনো ব্যথা ছিল না।'
তার বক্তব্যে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে সমর্থকদের, কারণ এতে ধারণা করা যাচ্ছে এটি বড় কোনো ইনজুরি নয়, হয়তো হালকা টান বা মাংসপেশির ক্লান্তি হতে পারে।
মেসির ইনজুরি নিয়ে তার সতীর্থদের মন্তব্য ছিল কিছুটা অস্পষ্ট। ফেদেরিকো রেদোনদো বলেন, 'আসলে এখনও কিছুই জানি না।'
অন্যদিকে তেলাস্কো সেগোভিয়া জানান, 'মেসি আমাকে বলেছে সে ঠিক আছে। তবে চোটের প্রকৃতি বোঝার জন্য পরীক্ষা করাতে হবে।'
মেসি মাঠ ছাড়ার দ্রুতই মায়ামিকে এগিয়ে দেন তেলাস্কো। তবে এর কিছুক্ষণ পরই ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। এক পর্যায়ে পিছিয়ে পড়ে ২-১ গোলে। অতিরিক্ত সময়ে সমতায় ফেরার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে দলটি।
এমএলএসে আসার পর এবারই সবচেয়ে ধারাবাহিক সময় পার করছিলেন মেসি। এই ম্যাচের আগপর্যন্ত টানা ১৬ ম্যাচের প্রতিটি মিনিট মাঠে ছিলেন। অল-স্টার ম্যাচে না খেলায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার পর আটলাসের বিপক্ষে লিগস কাপের ম্যাচ দিয়েই ফিরে এসে দুটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন, যার একটি ছিল জয়সূচক।
তবে এবার চোটের ধাক্কায় হয়তো তাকে আবার কিছুটা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। সামনে তিন সপ্তাহে মায়ামির রয়েছে চারটি ম্যাচ—যার মধ্যে রয়েছে লিগস কাপ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচও। চোট গুরুতর না হলে হয়তো দ্রুতই ফিরবেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
Comments