হানিয়াকে হত্যার অপরাধে ইসরায়েলকে ‘কঠিন শাস্তি’ দেওয়ার অঙ্গীকার খামেনির

পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: রয়টার্স
পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: রয়টার্স

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'কঠোর শাস্তির' অঙ্গীকার করেছেন। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া তেহরানে নিহত হওয়ার পর তিনি এই হুশিয়ার দেন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা ইরনা খামেনির বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

খামেনি বলেন, '(হানিয়াকে হত্যার) এই পদক্ষেপের মাধ্যমে (ইসরায়েলের) অপরাধী, জঙ্গি ও জাওনবাদী শাসকরা কঠিন শাস্তি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।'

'ইরানের ভূখণ্ডে হানিয়ার রক্ত ঝরেছে, প্রতিশোধ নেওয়া এখন আমাদের কর্তব্যে পরিণত হয়েছে', যোগ করেন তিনি।

হানিয়ার মৃত্যুতে আজ বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে তেহরান।

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে বৈঠক করেন হানিয়া-খামেনি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে বৈঠক করেন হানিয়া-খামেনি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, 'ইসমাইল হানিয়া শহীদ হওয়ার কারণে ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেওয়া হল।'

ইতোমধ্যে একাধিক দেশের সরকার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, সিরিয়া, কাতার, রাশিয়া ও লেবানন।

ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গতকাল মঙ্গলবার হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'ইরানের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরান এসেছিলেন হানিয়া। তিনি উত্তর তেহরানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের জন্য নির্মিত বিশেষায়িত বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। সে সময় আকাশ থেকে ছুড়ে মারা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হন তিনি।'

গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিজ বাসভবনে নিহত হন হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী।

এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তবে এখনো হামাস প্রধানের মৃত্যুর বিষয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

Comments