নতুন সরকার এলে ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পাব, আশা সাঈদের বাবার

খুনি সরকারের পদত্যাগে খুব ভালো ভালো লাগছে, আমাদের পরিবারের সবাই খুশি। কিন্তু একটা বেদনা হলো আমি ছেলে হারা বাবা, মানতে কষ্ট হচ্ছে। গতকাল থেকে অনেক মানুষ বাড়িতে ছেলের কবর দেখতে এবং আমাদের দেখতে আসছে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন  দ্য ডেইলি স্টারকে এভাবেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পতদ্যাগের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে তার আরও বলেন, নিশ্চয় নতুন সরকার আসবে, তখন ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পাব। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। 

আবু সাঈদকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরপরই আন্দোলন তুমুল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আবু সাঈদ কেবল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিংবা ২০২৪ সালের প্রেক্ষাপটে নয় আগামীতে বিশ্বজুড়ে আবু সাঈদ সাহসী প্রতিবাদী চরিত্র হয়ে থাকবে।'

বাবা মকবুল হোসেনের নয় সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সন্তান সাঈদ। ভাই-বোনদের মধ্যেই তিনি পড়াশোনায় এগিয়ে ছিলেন। অন্যান্য ভাই-বোনেরা পড়াশোনা বেশি না করার কারণে কৃষি কাজ করেন। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। কেউ কেউ গার্মেন্টেসে কাজ করেন। আবু সাঈদ ছিল বাবা-মায়ের বয়স শেষ সম্বল। পড়াশোনা করে সংসারের কষ্ট লাঘব করবে। বাবা তার ভাইদের বলতেন, দেখিস সাঈদ বড় চাকরি পাবে। আমাদের সম্মান আরও বাড়বে। কিন্তু বাবার সেই আশা আর পূরণ হলো না। পুলিশের গুলিতে বাবার শেষ সম্বলটুকুও আর রইল না।'

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুহিন ওয়াদুদ বলেছেন, কোটা সংস্কারে গড়ে ওঠা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরপরই আন্দোলন তুমুল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আবু সাঈদ কেবল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিংবা ২০২৪ সালের প্রেক্ষাপটে নয় আগামীতে বিশ্বজুড়ে আবু সাঈদ সাহসী প্রতিবাদী চরিত্র হয়ে থাকবে।'

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। পরদিন সোয়া ১০টার দিকে বাবনপুর নালিপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ির পাশে দাফন করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

3h ago