দামপাড়া পুলিশ লাইনসে শতাধিক পুলিশ সদস্যের বিক্ষোভ

'আমরা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে চাই, পুলিশ মরতে চায় দেশের জন্য বিজয়ীর বেশে।'
দামপাড়া পুলিশ লাইন্স
দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

নিরাপত্তাসহ কয়েকটি দাবিতে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছেন পুলিশ সদস্যরা।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেখানে ১০০ থেকে ১৫০ পুলিশ সদস্য সাদাপোশাকে অধঃস্তন পুলিশ সংস্কার প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে তারা বিক্ষোভ করছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, বিক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যরা এসময় পুলিশ সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা, থানায় হামলাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে হামলাকারীদের বিচারের দাবি করেন।

এখানে বক্তব্য রাখেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আ স ম মাহতাব মিঞা।

তিনি বলেন, এখানে পুলিশ সদস্যরা যেসব দাবি জানিয়েছেন তার প্রত্যেকটি দাবি যৌক্তিক। আলাদা পুলিশ কমিশনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। আমরা রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই। পুলিশ মরতে চায় দেশের জন্য বিজয়ীর বেশে। আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই হত্যার শিকার হয়েছি। এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, এই মুহূর্তে পুলিশের চেইন অব কমান্ড আছে কি না?

মাহতাব মিঞা বলেন, কোনো চেইন অব কমান্ড নাই। যদি চেইন অব কমান্ড থাকত তাহলে এত মৃত্যু আমাদের দেখত হতো না।

তিনি বলেন, নতুন যারা পুলিশের দায়িত্বে এসেছেন আমরা আশা করব আমাদের দাবিগুলো তারা শুনবেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই।

যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং তাদের শহীদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানাই আমরা। আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাই। এখনও যারা পুলিশ লাইন্সে আছেন তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। নিজেদের নিরাপত্তা তাদের নিজেদের দিতে হচ্ছে। আমরা চাই এই অবস্থার অবসান হোক।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষত অধঃস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ সব পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনা, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ, পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam sons: They used fake pay orders even to legalise black money

Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, two sons of controversial businessman Mohammed Saiful Alam, deprived the state of Tk 75 crore in taxes by legalising Tk 500 crore in undisclosed income, documents obtained by The Daily Star have revealed.

3h ago