যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের অবস্থা আওয়ামী লীগের মতো হবে: আসিফ মাহমুদ

কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে মতবিনিময় সভায় ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, অনেকে ফ্যাসিবাদের সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাদের পরিণতি ও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো হবে। বাংলাদেশের তরুণদের এই শক্তি সমুন্নত থাকবে। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কোনো স্বৈরাচারী সরকার আসতে পারবে না।

আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন তিনি। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে এই সভা আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের পতনে এক মাস লাগলেও আপনাদেরকে আরও আগেই দমন করা হবে। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও আওয়ামী লীগের মানসিকতার মানুষগুলো এখনো রয়ে গেছে।'

'অনেকে ১৬ বছর বললেও আমি বলব ৫৩ বছর ধরে এই দেশে জঞ্জাল জমা হয়েছিল। ৫৩ বছরের জঞ্জাল কীভাবে এক মাসে সরাব তা আমাদের জানা নেই। তবে, একটা জিনিসের পরিবর্তন হয়েছে সেটা হলো কেউ এবার বন্যার ত্রাণের টাকা মেরে খায়নি। সরকারি অফিস আদালতে ঘুষ বন্ধ হয়েছে। আমরা এই ধরনের পরিবর্তন চেয়েছিলাম।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতি করা না করা ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু সবার মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকাটা জরুরি। গত সরকার ছিল নতজানু, কারণ তারা জনগণের সরকার ছিল না। এদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আমরা আর নতজানু হবো না।'

তিনি আরও বলেন, 'ভারত এতদিন একটি দল বা সরকারের সঙ্গে কথা বলত। এখন সেই সুযোগ নেই। এখন কথা বলতে হবে জনগণের সঙ্গে তাও চোখে চোখ রেখে।'

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের, সুমাইয়া আক্তার, হামযা মাহবুব, জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহাম্মেদ আরাফ, আবু রায়হান, তাছনিয়া নাওরিন, মহিদুল ইসলাম রিন্তু, ফারিয়া রহমান, খালেদ হাসান, নাঈম আবেদীনসহ আরও অনেকে। আরও বক্তব্য রাখেন, ইয়াসির আরাফাত হিমু, মাহির তাজওয়ার, আবদুল কাদের, মাহী খানসহ অনেকে। সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

31m ago