আজ নির্ধারণ হবে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

জাপানের ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য লড়ছেন সানায় তাকাইচি (বাঁয়ে) ও শিগেরু ইশিবা (ডানে)। ছবি: এএফপি
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য লড়ছেন সানায় তাকাইচি (বাঁয়ে) ও শিগেরু ইশিবা (ডানে)। ছবি: এএফপি

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দল ও দেশের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন—এটি এখন পুরনো খবর। আজ ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) আইনপ্রণেতারা ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন নতুন নেতা ও অনিবার্যভাবে, নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ও জাপানের রাজনীতিতে বিরল প্রতিভা ও নারী নেতৃত্বের পথ প্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত সানায় তাকাইচির মধ্যে একজন দল ও দেশের নেতা হিসেবে বেছে নেবে এলডিপির আইনপ্রণেতারা।

যিনি জয়ী হবেন, তাকে চীনের কাছ থেকে আসা আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি হতে হবে। ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে ওঠা চীন সাম্প্রতিক সময়য় এরাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে।

পাশাপাশি, জাপানের অর্থনীতিতে নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে আনার দুরূহ দায়িত্ব বর্তাবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর ওপর।

২০১২ সালেও প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য লড়েছিলেন ইশিবা (৬৭)। সেবার জাতীয়তাবাদী নেতা শিনজো আবের কাছে পরাজিত হন। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জাপানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর আততায়ীর হাতে নিহত হন আবে।

তিনি দাবি করেছেন, কৃষি খাতের সংস্কারসহ আরও জটিল সামাজিক সমস্যার সমাধান করে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী তাকাইচি (৬৩) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শিষ্য হিসেবে বিবেচিত। জয়ী হলে তিনিই হবেন জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।

আগস্টে জাপানের আকাশসীমায় প্রথমবারের মতো চীনের সামরিক বিমান ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ফুজি টেলিভিশনে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান, 'জাপানকে সব সময় নিচু করে দেখে চীন।'

প্রথম রাউন্ডের ভোটে নতুন রেকর্ড গড়ে নয় জন প্রার্থী দলের নেতৃত্বের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন।

এ বছরের শুরুর দিকে তহবিল কারসাজির দায়ে ভেঙে পড়ে এলডিপির দীর্ঘ সময়ের স্থিতিশীল শীর্ষ নেতৃত্ব।

পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এলডিপি। যার ফলে, দলের নেতা হিসেবে যিনি নিয়োগ পাবেন, নিশ্চিতভাবেই তিনিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের অবস্থান সুসংহত করতে নতুন প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচনের ডাক দেবেন।

নেতৃত্বের লড়াইয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী শিনজিরো কৌজুমি। একজন দক্ষ 'সার্ফার' হিসেবে তার সুনাম রয়েছে।

সমালোচকদের মতে, দেশের নেতৃত্বও দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা নেই তার। তার বাবা দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কৌজুমি। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

আজ শুক্রবার যিনি বিজয়ী হবেন, তাকে ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্লামেন্টে নির্বাচিত করা হবে।

এলডিপির নেতারা সর্বোচ্চ তিন বছরের মেয়াদে টানা তিনবার পদে থাকতে বারে। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নেতৃত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

কিছু কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করলেও দলের নানা বিষয় নিয়ে কারসাজি, উচ্চ দ্রব্য মূল্য ও অন্যান্য সমস্যায় জনমত জরিপে কিশিদার জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Malaysia to take part in regional peace mission to Myanmar

Securing peace in Myanmar is a great priority, said Malaysian Prime Minister Anwar Ibrahim at a joint press conference today

2h ago