সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯২ শতাংশ

মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, অর্থবছর, আইএমএফ,
বাংলাদেশের একটি বাজারের সাধারণ দৃশ্য। স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের দাম কমায় টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর পরও গত বছরের মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ১০ শতাংশের আশেপাশে আছে।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে সিপিআই দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে, যা আগস্টের ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশের চেয়ে কম, জুলাইয়ে ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, 'ইতিবাচক খবর হচ্ছে, টানা দ্বিতীয় মাস মূল্যস্ফীতি কমেছে। তার মানে গ্রামীণ ও শহুরে বাজারে খাদ্য-মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হচ্ছে।'

তিনি বলেন, সম্ভবত সরবরাহ ব্যবস্থা কিছু উন্নত হয়েছে ও ব্যয় কমেছে, তাই খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমছে। তাছাড়া বিনিময় হার স্থিতিশীল আছে এবং বন্যা কমেছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ হয়েছে, যা আগস্টে ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে নেমেছে, যা আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

গতকাল প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, মূল্যস্ফীতি কমার সুস্পষ্ট লক্ষণ না আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকতে পারে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque alleges political obstruction in DSCC mayoral appointment

Announces establishment of 'Mayor's Cell' to monitor service delivery in the city

1h ago