হাতিরঝিলে আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধে জমির মালিকের ছেলে খুন

নিহত তানজিল জাহান ইসলাম তামিম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় আবাসন প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও ভাড়াটে গুন্ডাদের হামলায় এক জমির মালিকের ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩৪) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েকজন লোক তামিমের বুকে ঘুষি মারলে তিনি নিহত হন। জমির মালিক ও আবাসন কোম্পানির মধ্যে ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে।

ওসি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় ডেভেলপার কোম্পানির প্রকৌশলীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।'

তামিমের বাবা সুলতান আহমেদ জানান, তিনিসহ জমির আরও দুই মালিক আবাসন প্রতিষ্ঠানটিকে জমি দিয়েছেন এবং তার পাঁচটি ফ্ল্যাট পাওয়ার কথা ছিল।

সুলতান বলেন, '২০২৩ সালে কোম্পানিটি আমাকে দুটি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে। নয়তলা ভবনের সবগুলো ফ্ল্যাট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও বাকিগুলোর বিষয়ে গড়িমসি করতে থাকে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক তর্কবিতর্কের পর কোম্পানির মালিকরা আমাদের নিজেদের টাকায় ৭সি ফ্ল্যাটটির সংস্কার কাজ করতে বলেন, যদিও তাদেরই এটি করার কথা ছিল। আমরা গতকাল কাজ শুরু করলে তাদের (আবাসন কোম্পানির লোকজন) একটি গ্রুপ আমাদের বাধা দেয়।

'আমার ছেলের তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা আজ আবার সেখানে কাজ শুরু করলে কোম্পানির কর্মীসহ ৩০ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে কয়েক মিনিট ধরে ঘুষি মারে এবং তাদের মধ্যে একজন আমার ছেলের গলা চেপে ধরে।'

হামলার পরপরই তামিম অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে পার্শ্ববর্তী মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

তামিমের বাবা বলেন, 'আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।'

তামিরের খালা নিহতের খালা মাহমুদা বেগম লুবনার অভিযোগ, তামিমকে হত্যার জন্য আবাসন কোম্পানিটি বহিরাগতদের ভাড়া করেছিল।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডেভেলপার কোম্পানির বক্তব্য জানতে পারেনি ডেইলি স্টার।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

5h ago