২৯ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে যতি টানলেন এ আর রহমান-সায়রা বানু

২৯ বছরের সংসারে যতি টানলেন এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
২৯ বছরের সংসারে যতি টানলেন এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

অস্কার বিজয়ী গীতিকার এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু তাদের ২৯ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে যতি টানতে চলেছেন।

এ আর রহমান ও তার স্ত্রীর আইনজীবী গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে ডিভোর্স আইনজীবী বন্দনা শাহ জানান, এই দম্পতির পারষ্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরার পর তারা দুইজন মিলে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন'।

'দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবন পেরিয়ে সায়রা বানু  ও তার জীবনসঙ্গী এ আর রহমান বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের সম্পর্কে বড় আকারে টানাপড়েন দেখা দেওয়ার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন', যোগ করেন তিনি।

বন্দনা আরও বলেন, 'একে অপরকে পাগলের মতো ভালোবাসলেও তারা বুঝতে পেরেছেন, নানামুখী চাপ ও জটিলতা তাদের মধ্যে পর্বতসম ব্যবধান গড়ে তুলেছে। উভয়ই মনে করেন আপাতত এই ব্যবধান ঘুচে যাওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।'

১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ আর রহমান (৫৭) ও সায়রা বানু। পরবর্তী বছরগুলোতে এই দম্পতির ঘর আলো করে দুই কন্যা খাতিজা ও রাহিমা এবং পুত্র সন্তান আমিন জন্ম নেয়।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিসে আমিন লেখেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করবো এই (কষ্টকর) সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান জানাতে। বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।'

এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ের ছবি। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ের ছবি। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

এক যৌথ বিবৃতিতে রহমান দম্পতি জানান, 'ব্যথা ও যাতনা' থেকে তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তারা জনসাধারণকে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান জানাতে ও সার্বিকভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে তারা তাদের জীবনের এই 'কঠিন সময়' পার হতে পারেন।

সায়রা বানু প্রথম আলাদা করে ডিভোর্স নিয়ে একটি বিবৃতি দেন। এরপর আসে দম্পতির যৌথ বিবৃতি।

এ আরও রহমান তার এক্স হ্যান্ডলে বলেন, 'আমরা ৩০ বছরের মাইলফলক ছোঁয়ার আশা করেছিলাম। তবে বোঝা গেছে, সব কিছুরই এমন পরিণতি হতে পারে যা আপনি আগে থেকে বুঝতে পারবেন না। ভগ্নহৃদয়ের বেদনার ভারে এমন কী খোদার আরশও টলে যেতে পারে। তারপরও, এই ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে, সব কিছুর অর্থ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের টুকরোগুলো আর আগের জায়গা ফিরে পেতে নাও পারে। আমাদের বন্ধুদের বলছি। আমাদের জীবনের এই ভঙ্গুর অধ্যায়ে মহানুভবতা ও আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান জানানোয় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

4h ago