সিরিয়ার নতুন প্রশাসন ও পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সসহ ২০ দেশের

‘সিরিয়া বিষয়ক প্যারিস সম্মেলন’ উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও জাপানসহ প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধিরা। ছবি: এএফপি

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর ক্ষমতায় আসা নতুন প্রশাসনের পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। 

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সের রাজধানীতে আরব দেশগুলোর পাশাপাশি তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও জাপানসহ প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার 'সিরিয়া বিষয়ক প্যারিস সম্মেলন' অনুষ্ঠিত হয়।  

সেখানে সবকয়টি দেশই 'সিরিয়ার পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সাফল্য নিশ্চিতে' একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। 

সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতিতে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে 'সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার সব ধরনের রূপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে' সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেয় দেশগুলো। 

আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার নতুন প্রশাসন ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে, তারা অতীতের ভুল সংশোধন করবে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সম্মান করবে। দেশ পুনর্গঠনের জন্য আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারেরও অনুরোধ জানিয়েছে তারা। 

সম্মেলনে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানির উপস্থিতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, 'আপনাদের ওপর এখন বিশাল প্রত্যাশার ভার।'

'সকল সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটিই হবে স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি,' বলেন মাখোঁ। 

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে 'শীঘ্রই' ফ্রান্সে আমন্ত্রণ জানাবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হতে পারে। 

প্যারিসে সিরিয়া-বিষয়ক এই সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব মিত্র রাষ্ট্র সই করলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফরাসি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন এখনো সিরিয়ার ব্যাপারে তাদের কৌশল চূড়ান্ত করতে পারেনি। 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago