চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ধারাভাষ্য কক্ষে থাকছেন যারা, সম্প্রচারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেবে যা

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর জৌলুসময় করতে কোন কমতি রাখতে চাইছে না আইসিসি। এলিট ওয়ানডে সংস্করণের এই আসর বিশ্বব্যাপী বিপুল দর্শকদের পর্দায় বুঁদ করে রাখবে। এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে সম্প্রচারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নামী ও অভিজ্ঞদের নিয়ে ধারাভাষ্য প্যানেল করার পাশাপাশি আধুনিক অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা জানানো হয়েছে।

ক্রিকেট সম্প্রচারের শীর্ষস্থানীয় কিছু নাম আইসিসি টিভির কাভারেজের নেতৃত্ব দেবেন, যার মধ্যে রয়েছেন নাসের হুসেন, ইয়ান স্মিথ এবং ইয়ান বিশপের মতো আইকন।

তাদের সঙ্গে থাকবেন আইসিসি বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক তারকা- রবি শাস্ত্রী, অ্যারন ফিঞ্চ, ম্যাথিউ হেইডেন, রমিজ রাজা, মেল জোনস, ওয়াসিম আকরাম এবং সুনীল গাভাস্কার। এই কিংবদন্তিরা বড় মঞ্চে সফল হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন সে সম্পর্কে তাদের অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করবেন।

বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিচিত কিছু কণ্ঠস্বর তো শোনা যাবেই।  হার্শা ভোগলে, মাইকেল আথারটন, এম্পুমেলো এমবাংওয়া, ক্যাস নাইডু এবং সাইমন ডুল খেলার বিভিন্ন বিষয়ের নিজেদের গভীর দৃষ্টিকোণ সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকবেন।

এই তারকা লাইনআপটি সম্পূর্ণ করবেন প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ডেল স্টেইন, বাজিদ খান, দীনেশ কার্তিক, কেটি মার্টিন, শন পোলক, আতাহার আলী খান এবং ইয়ান ওয়ার্ড। যারা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ এবং অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবেন।

ক্রিকেটে ধারাভাষ্যে দারুণ সব মুহুর্তের জন্ম দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ইয়ান বিশপ এই আসর দেখার জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সব সময় ক্রিকেটের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর কিছু লড়াই উপহার দিয়েছে। আমার কোন সন্দেহ নেই যে এবারের আসরও ভিন্ন কিছু হবে না। বিশ্বমানের দল থাকায় আমরা বিশেষ কিছু দেখতে যাচ্ছি!'

অস্ট্রেলিয়ান ধারাভাষ্যকার মেল জোনস বিশ্বাস করেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রতিটি মুহূর্ত খেলোয়াড় এবং ভক্ত উভয়ের জন্যই উত্তেজনায় পূর্ণ হবে, 'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে—এখানে কোনও সহজ খেলা নেই, প্রতিটি পারফরম্যান্স গণ্য করা হয়। শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, সেই ভক্তদের জন্যও প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে।'

আইসিসি জানিয়েছে, এবারের আসরে বিস্তৃত কাভারেজের মধ্যে একটি প্রি-ম্যাচ শো, ইনিংস বিরতির বিশ্লেষণ এবং একটি পোস্ট-ম্যাচ র‍্যাপ-আপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সম্প্রচারে প্রযুক্তির ব্যবহার

প্রতিটি ম্যাচ কমপক্ষে ৩৬টি ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হবে, দর্শকদের জন্য সম্প্রচারকে উন্নত করতে অনেক বিশ্লেষণাত্মক সরঞ্জাম থাকবে। হক-আই প্রযুক্তিসহ ডিসিশন রিভিউ সিষ্টেম (ডিআরএস) থাকবে সব ম্যাচেই। নিখুঁত সিদ্ধান্ত গ্রহণের থাকবে কবে মাল্টি-অ্যাঙ্গেল রিপ্লে সিষ্টেম। সম্প্রচারকারী সংস্থা গভীর বিশ্লেষণের জন্য পিয়েরো গ্রাফিক্সও সরবরাহ করবে।

খেলা দেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে কুইডিচ ইনোভেশন ল্যাবস ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ভার্চুয়াল মাঠের মডেল ও ফিল্ডিং পজিশন দেখাবে। এবং সেটা কাজ করবে রিয়েল টাইমে। খেলার মাঠ ও বাইরের এরিয়াল ভিউয়ের জন্য ড্রোন ক্যামেরা তো থাকছেই। মাঠের দৃশ্যের বৈচিত্র্য আনতে ব্যাগি ক্যামও ব্যবহৃত হবে, থাকছে স্পাইডার ক্যামের ব্যবহার।

জিও স্টারের মাধ্যমে ডেডিকেটেড ভার্টিকাল ফিড সরবরাহ করে স্মার্টফোনের দর্শকদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says not yet made decision on whether to attack Iran

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago