মার্কিন-রুশ আলোচনাকে ‘বৈধতা’ না দিতে সৌদি সফর স্থগিত করলেন জেলেনস্কি

তুরস্কে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি
তুরস্কে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পূর্বনির্ধারিত সৌদি আরব সফর স্থগিত করেছেন। স্পষ্টতই তার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে গতকাল রিয়াদে অনুষ্ঠিত মার্কিন-রুশ বৈঠকের যোগসূত্র রয়েছে। এমনটাই মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মূলত মার্কিন-রুশ বৈঠককে 'বৈধতা' দিতে রাজি নন জেলেনস্কি। এ কারণেই তিনি আপাতত সৌদি আরবে যাচ্ছেন না। এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন দুই সূত্র রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন। 

গতকাল মঙ্গলবার তুরস্ক সফরে ছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি জানান, এ সময়ে সৌদি আরব সফর করে কোনো 'কাকতালীয় ঘটনার' জন্ম দিতে চান না তিনি। এ কারণে আজ বুধবারের বৈঠকটি তিনি আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

'রিয়াদে যা হয়েছে (আলোচনা ও সিদ্ধান্ত), সেটাকে কোনো ধরনের স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ইউক্রেন', এক সূত্র রয়টার্সকে জানায়।

বৈঠকের আগেই জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, তিনি রিয়াদের মার্কিন-রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ পাননি।

গতকাল ওই বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিবিদরা অংশ নেন। এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া।

'আমরা চাই না আমাদেরকে পাশ কাটিয়ে কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিক—ইউক্রেনকে বাদ রেখে ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়', যোগ করেন জেলেনস্কি।

রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যখন আলোচনায় ব্যস্ত, তখন তুরস্ক সফরে যান জেলেনস্কি। এই সফরে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সৌদি আরবে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনীতিবিদরা। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনীতিবিদরা। ছবি: এএফপি

আঙ্কারায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের চাওয়া হলো, কেউ যেন পেছনে বসে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধ কীভাবে শেষ করা যায়, সে বিষয়ে কিয়েভকে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে তৎপর রয়েছেন। এ নিয়ে আগে তিনি বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই দ্রুত কিছু করার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন।

ট্রাম্পের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, শান্তিপ্রক্রিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলোকে বাইরে রাখা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Soybean oil price hike temporary: commerce adviser

Improved supply and increased competition will help bring down prices soon, he says

1h ago