কেবল জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায় ইসরায়েল

গাজার খান ইউনিসে ত্রাণের অপেক্ষায় ফিলিস্তিনি শিশুরা | ছবি: রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত শনিবার। হামাসকে নতুন করে চুক্তিতে বাধ্য করতে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

আজ মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল। তবে শর্ত হচ্ছে, এই ধাপে হামাসের কাছে থাকা সর্বশেষ ৫৯ জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শনিবারের আগে থেকে ইসরায়েলকে আলোচনার টেবিলে বসতে হামাস আমন্ত্রণ জানিয়ে এলেও গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী শাসন ব্যবস্থা ও হামাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে একমত হতে পারছে না দুপক্ষ।

যুদ্ধের পর গাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার এবং উপত্যকা থেকে হামাসকে বিলুপ্ত করার দাবি করে আসছে ইসরায়েল।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ৪২ দিনের প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের অনেকেই নারী ও শিশু।

আজ জেরুজালেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সার বলেন, 'আমরা দ্বিতীয় ধাপে যেতে প্রস্তুত।'

'কিন্তু যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানো বা কাঠামো বজায় রাখার জন্য আমাদের আরও জিম্মি মুক্তির প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন,' বলেন তিনি।

স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় যেতে চায় হামাস। পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী, এই ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং হামাসের কাছে থাকা সর্বশেষ ৫৯ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির দেওয়ার কথা ছিল।

তবে ইসরায়েল কেবল জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চায়। স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ বা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেননি সার।

রমজান মাস থেকে শুরু করে এপ্রিলে ইহুদিদের পাসওভার ছুটি পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর পক্ষে ইসরায়েল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েল সফরে যাবেন।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago