চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

শুরুতে ভালো ব্যাট করলে জিতবে ভারত, বললেন বরুণ

ছবি: এএফপি

চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জিং সময় পার করতে হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৫১ রানের পুঁজি গড়েছে তারা। ভালো শুরু পেয়ে গেলে এই রান তাড়া করে জিতে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত, মনে হচ্ছে বরুণ চক্রবর্তীর।

রবিবার ফাইনালে দুই ইনিংসের মাঝের বিরতিতে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলেন রহস্য স্পিনার বরুণ। তিনি জানান, 'সবশেষ ম্যাচের তুলনায় আজকে (ব্যাটিংয়ের জন্য) ভালো উইকেট ছিল। খুব বেশি টার্ন করেনি। আমি যা করতে পারতাম তা হচ্ছে, স্টাম্পের লাইন বরাবর বোলিং করে যাওয়া এবং ব্যাটারের ভুলের অপেক্ষায় থাকা।... যদি আমরা শুরুতে ভালো ব্যাট করতে পারি, তাহলে এটি তাড়া করার মতো স্কোর।'

চলতি আসরে দুবাইয়ে যে পাঁচ ম্যাচ হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম টার্ন হয়েছে এদিনই। গড়ে ২ ডিগ্রি টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা। প্রথমবার আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল খেলতে নেমে দুর্দান্ত দিন পার করেছেন ভারতের স্পিনার বরুণ। ১০ ওভার বোলিং করে ৪৫ রান খরচে তিনি পেয়েছেন ২টি উইকেট। 

পাওয়ার প্লেতে ওপেনার উইল ইয়াংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে কিউইদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বরুণ। পরে গ্লেন ফিলিপসকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাকে ইনিংসের সব পর্যায়েই বোলিংয়ে এনেছেন এই ম্যাচে।

নিজের বোলিং নিয়ে বরুণ আরও বলেন, 'আমি ডেথ ওভারে ও পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে পছন্দ করি। এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং উইকেট নেওয়ার বেশি সুযোগ থাকে। আমি কুলদীপের (যাদব) সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করি, জাদ্দু ভাই (রবীন্দ্র জাদেজা) আর অক্ষরের (প্যাটেল) সঙ্গেও। আমি ভারত দলে নতুন, তাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চাই।' 

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৬৯ রান এনে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ভারতের স্পিন জালে আটকা পড়ে কিউইরা। বরুণের মতো কুলদীপ ২টি উইকেট নেন। একটি উইকেট শিকার করেন জাদেজা। অক্ষর উইকেট না পেলেও ছিলেন ভীষণ আঁটসাঁট। তার ৮ ওভারে ওঠে ২৯ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা ভারত এরই মধ্যে পেয়ে গেছে দুর্দান্ত শুরু। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৪ রান। রোহিত আগ্রাসী ঢঙে খেলছেন ৪০ বলে ৪৯ রানে। আরেক ওপেনার শুবমান গিলের রান ২০ বলে ১০। তাহলে বরুণের বার্তাই কি সত্যি হতে চলেছে?

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

12h ago