সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ করতে দুদককে নির্দেশ

সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের লন্ডনের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
এছাড়া, তাদের নামে যুক্তরাজ্যের বারক্লেইস ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট এবং আরব আমিরাতের একটি কোম্পানির শেয়ার জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদককে আদেশের কপি যুক্তরাজ্যের এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রির প্রধান নির্বাহী ও প্রধান ভূমি নিবন্ধক, বারক্লেইস ইউকে'র প্রধান নির্বাহী এবং শারজাহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের করা এ আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং অন্যদের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজি ও জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন টাকার ঋণ আত্মসাৎ ও বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদকের তদন্তকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে।
আবেদনে বলা হয়, দুদক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছে যে তারা এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অর্থ স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। তদন্ত অব্যাহত রাখার জন্য মামলা দায়ের, আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচারের পর সাজার অংশ হিসেবে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ চাওয়া হয় আবেদনে।
আবেদন দাখিলের পর একই আদালত সালমান এফ রহমান, তার স্ত্রী রুবাবা রহমান, তাদের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সালমানের বড় ভাই আহমেদ সোহেল ফাসিহুর রহমান ও তার ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একই আদালত সালমান এফ রহমান, পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের ৩৫৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার জন্য দুদককে নির্দেশ দেয়।
গত বছরের ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দেশের সব ব্যাংককে সালমান, তার স্ত্রী ও ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়।
অর্থপাচার মামলায় ২৩ জানুয়ারি সালমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দুদক।
ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি, আত্মসাৎ এবং অনিয়মের অভিযোগের পর গত বছরের গত ২২ আগস্ট সালমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।
গত বছরের ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Comments