অতীত কীর্তি নয়, বর্তমান পারফরম্যান্স দিয়েই পর্তুগাল দলে রোনালদো

আন্তর্জাতিক ফুটবল অভিষেক সেই ২০০৩ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ২২ বছর। এখনও সমান তালে খেলে যাচ্ছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তির কাতারে। বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেও আল-নাসর তারকা এখনও জাতীয় দলে টিকে আছেন পারফরম্যান্স দিয়েই। এমনটাই বললেন পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ।

রোনালদোর ঝুলিতে এখন পর্যন্ত ২১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ১৩৫টি গোল রয়েছে, যা তাকে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে এখানেই থামার ইচ্ছা নেই তার। এখনো তিনি দারুণ ফর্মে আছেন এবং আরও অনেক ম্যাচ ও গোলের অপেক্ষায় আছেন, কারণ তার গতি কমার কোনো লক্ষণ নেই।

এখনো পর্তুগাল দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ রোনালদো এবং সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসরের মূল চালিকাশক্তি। তার লক্ষ্য ১০০০ ক্যারিয়ার গোল পূর্ণ করা, তার আগে অবসরের কথা ভাবছেন না তিনি। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

রোনালদোকে এখনও জাতীয় দলে ডাকার কারণ জানিয়ে মার্টিনেজ বলেন, 'আমি যখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো একজন খেলোয়াড়ের কথা বলি, তখন আমি তিনটি মূল বিষয় বিবেচনা করি। তার প্রতিভা প্রশ্নাতীত; তিনি ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা। তার অভিজ্ঞতা অনন্য; ছয়টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় এবং ২০০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফুটবলার।'

'কিন্তু যা তাকে সত্যিই আলাদা করে তোলে, তা হলো তার নিবেদন। পর্তুগালের হয়ে খেলার প্রতি তার আবেগ সংক্রামক, যা পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করে। আজ তিনি দলে আছেন শুধুমাত্র অতীতের কীর্তির জন্য নয়, বরং তিনি যা করছেন, তার জন্য। গত দুই বছরে আমরা ২১টি ম্যাচ খেলেছি এবং তাতে ১৭টি গোল করে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা,' যোগ করেন এই কোচ।

মার্টিনেজ আরও বলেন, 'পর্তুগালের বড় স্বপ্ন হলো সেই একমাত্র শিরোপা জয় করা, যা এখনো বাকি আছে—বিশ্বকাপ। এটি চাপ এড়ানোর বিষয় নয়, বরং উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ব্যাপার। আমরা তাৎক্ষণিক সাফল্য এবং ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পেতে চাই।'

বর্তমানে ইউরোপীয় নেশন্স লিগ জয়ের আরেকটি সুযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রোনালদোর পর্তুগাল। আসন্ন কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। অন্যদিকে, ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও আসছে, যা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

17h ago