কৃষ্ণ সাগরে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব নিয়ে সৌদিতে রুশ-মার্কিন বৈঠক

কৃষ্ণ সাগরে টহলরত ইউক্রেনীয় নৌযান। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতি চুক্তি করতে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠক করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা।

তবে বৈঠক চলাকালেও একে-অপরের ওপর ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে মস্কো ও কিয়েভ।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বৈঠকের আগে গতকাল ইউক্রেনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২২৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে—দাবি মস্কোর।

পাঁচদিন আগে ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার দক্ষিণ ক্রাসনোদার অঞ্চলের একটি তেল ডিপোতে আগুন ধরে যায়, যা নির্বাপণে এখনো চেষ্টা চলছে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবে আজকের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য কৃষ্ণ সাগরে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করা।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের মতে, 'এটি মূলত জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আলোচনা।'

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের সার্বিক যুদ্ধবিরতির তুলনায় কৃষ্ণ সাগরে অস্ত্রবিরতির পরিকল্পনাটি অনেকটা সীমিত পরিসরের।

রয়টার্সের মতে, যুদ্ধে সার্বিকভাবে বিরতি দেওয়াতে এখনো যে রাশিয়ার সম্মতি নেই, এই আলোচনা সেই ইঙ্গিতই দেয়।

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন। এসব হামলার কারণে এক পর্যায়ে ক্রিমিয়ার নৌঘাঁটি থেকে বেশ কিছু জাহাজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় মস্কো।

ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রাশিয়া আক্রমণ চালালেও এখনো ওডেসা অঞ্চলের প্রধান তিনটি সমুদ্রবন্দর থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে শস্য, লোহা ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে যাচ্ছে কিয়েভ।

তবে যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান রপ্তানি কেন্দ্র মাইকোলাইভ বন্দর এখনো বন্ধ আছে।

এ কারণেই চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে নৌ ও আকাশপথে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials end strike after govt warning

Following a stern government warning and mounting pressure from the country’s top business leaders, officials of the National Board of Revenue have withdrawn their shutdown.

7h ago