ফাইনালে বার্সেলোনাকেই পেল রিয়াল

লা কার্তুহায় আরও একটি এল ক্লাসিকোর সাক্ষী হতে চলেছে ফুটবল বিশ্ব। কোপা দেল রে'র সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে দুই গোলের লিড নিয়েও শেষ দিকে এসে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বার্সেলোনা। তবে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে এসে কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ফলে আগামী ২৬ এপ্রিল কোপা দেল রের শিরোপা লড়াইয়ে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল।

ওয়ান্দা মেত্রোপলিতনে বুধবার রাতে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগের ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। ফলে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে নাম লেখালো কাতালান ক্লাবটি।

তবে এই জয়ে ইউরোপে ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত অপরাজিতই রইল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। পেদ্রি ও লামিন ইয়ামালের অসাধারণ নৈপুণ্যে বার্সার 'রন্ডো' অ্যাতলেতিকোকে পেছনে ফেলতে বাধ্য করে। ফেরান তোরেসের সহায়তায় লামিনের পাস থেকে করা একমাত্র গোলই ছিল জয়ের জন্য যথেষ্ট। যদিও ব্যবধান ছিল স্বল্প, তবে তা নিরঙ্কুশ।

প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য বিস্তারের কারণে দিয়েগো সিমিওনেকে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছিল বার্সা। লেংলে ও সামু লিনোকে বেঞ্চে বসিয়ে আজপিলিকুয়েতা ও হিমেনেজকে শুরুর একাদশে নামানো হয়, এবং ফরমেশন ছিল ৪-৪-২, যা প্রথমার্ধে খুব একটা কার্যকর হয়নি। বার্সা ওলমোর জায়গায় ফারমিন লোপেজকে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডে খেলায়, আর প্রথম লেগের মতো লেভানদোভস্কিকে বেঞ্চে রেখে ফেরান তোরেসকে 'নাম্বার ৯' হিসেবে মাঠে নামান ফ্লিক। তবে হুয়ান মুসো তাকে আটকাতে পারেননি, যেমনটি মন্টজুইকে করেছিলেন তিনি।

বার্সা একের পর এক পাসিং ফুটবল খেলেই গোল পায়। পেদ্রি ও ডি ইয়ং ছিলেন এই সুরের কারিগর, ফারমিন ও রাফিনহা ক্লান্তিহীন প্রেসিং চালিয়ে গিয়েছেন, আর লামিন ইয়ামাল প্রতিপক্ষের রক্ষণকে চূর্ণ করে চলছিলেন। তার পাস থেকে ফেরানের গোলটি ছিল দারুণ এক দৃশ্য। তবে তার গোলসংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেলো।

সিমিওনে অবশ্য তার রক্ষণাত্মক কৌশলের কারণেই সমস্যায় পড়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সমতা ফেরানোর পর দ্বিতীয় মিনিটেই দলকে পেছনে নামিয়ে নেওয়ার পর এবার বার্সার বিপক্ষে ৪-৪ সমতা থাকা অবস্থায়ও একই রক্ষণাত্মক মানসিকতা দেখালেন। ম্যাচের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই নিজেদের ডিফেন্স লাইনের ৪০ মিটার সামনে অবস্থান করেন বার্সার দুই সেন্টার ডিফেন্ডার কুবার্সি ও ইনিগো মার্টিনেজ।

বিরতির পর পরিকল্পনা বদলান সিমিওনে, কারণ তার দল এখন প্রায় লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা হারিয়েছে। সোরলথ প্রতিআক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যদিও তিনি প্রায়ই অফসাইডে ধরা পড়ছিলেন। ফ্লিকও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখান, কুবার্সির বদলে মাঠে আনেন আরাহোকে এবং এরিককে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে নামিয়ে ডি ইয়ংকে আরও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেন।

এরপরও বার্সা বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিল, বিশেষ করে লামিন ইয়ামালের দারুণ পাস থেকে। এরমাঝে সোরলথ একবার বল জালে জড়ান, তবে সেটি অফসাইড ছিল। শেষ মুহূর্তে বার্সার রক্ষণ ছিল দৃঢ়, বিশেষ করে আরাহো খেলেছেন দুর্দান্ত। তাতে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার দর্শকদের সামনে একটি ফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সা। ২০২১ সালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-০ ব্যবধানে হারানোর সময় কোভিডের কারণে খেলা হয়েছিলো বন্ধ গ্যালারিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

45m ago