চল্লিশের দশকে ঈদ সংখ্যার সংস্কৃতি

মাসিক মদিনা, ২৯ অক্টোবর ১৯৪০ পত্রিকায় প্রকাশিত, ছবি লেখক

শত বছর ধরে বাঙালি মুসলমান ঈদ উদযাপন করলেও বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ঈদ সংশ্লিষ্ট সত্যিকার সাহিত্য রচনা শুরু হয়। আর এটি প্রকাশের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ঈদসংখ্যা। বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যে ঈদসংখ্যা প্রকাশ পায় তার নাম 'নবনূর'। পৌষ ১৩১০ (জানুয়ারি ১৯০৩), ১ম বর্ষ ৯ম সংখ্যায় প্রকাশ পায়। সম্পাদক সৈয়দ এমদাদ আলী।

ঈদসংখ্যা প্রকাশের যে ধারার সূচনা করেছিল 'নবনূর', তা সমকালীন অন্য সাময়িকপত্রসমূহকেও অনুপ্রাণিত করে। একে একে তারাও প্রকাশ করে ঈদসংখ্যা। ঈদসংখ্যা যথার্থভাবে মূর্ত হয়ে উঠে চল্লিশের দশকে। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে যে নব শিক্ষিত মুসলমান মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের উদ্ভব ঘটে, তাদের হাতেই মূলত ঈদ উৎসবের সূচনা। চল্লিশের দশক থেকে শুরু হয়ে বাংলার ঈদ উৎসব ধীরে ধীরে জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।

এই চল্লিশের দশকের শুরু থেকে শেষাবধি হাফ ডজনেরও বেশি ঈদ সংখ্যার সন্ধান পাওয়া যায়। মূলত সাহিত্য পত্রিকা ও জনপ্রিয় সাময়িকীগুলো ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করত—যেখানে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, ভ্রমণকাহিনি এবং সামাজিক বিশ্লেষণধর্মী লেখা স্থান পেত। দেশভাগের প্রভাব, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাত, বাঙালির আত্মপরিচয় ইত্যাদি বিষয় ঈদ সংখ্যার উপজীব্য হয়ে উঠে।

'মদীনা' ঈদসংখ্যা- ১৯৪০। এটি ছিল মাসিক পত্রিকা। পরিচালক হিসেবে নজির আহমদ চৌধুরীর নাম উল্লেখ আছে। প্রকাশিত হয় ২৭ রমজান (২৯ অক্টোবর ১৯৪০)। মূল্য চার আনা। প্রচ্ছদে কলকাতার বিখ্যাত শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী জে. এস. মোহাম্মদ আলীর পণ্যের বিজ্ঞাপন। ১৯৩৮ সালের ডিসেম্বরের কথা। কৃষক-প্রজা পার্টির মুখপত্র হিসেবে একটি নতুন বাংলা দৈনিক প্রকাশিত হয়। নাম ছিল 'কৃষক'।

'কৃষক' পত্রিকাটি জনমনে স্থান করে নেয়। আজকের মতো এতো অফুরন্ত খবর বা সংবাদ সেকালের সাময়িক পত্রের পাতায় স্থান পেত না। সংবাদপত্রের অনেকাংশ জুড়ে থাকতো সাহিত্য। বিশেষ করে ঈদ সংখ্যাগুলো সাহিত্যের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো। কৃষক-ঈদুলফেতর ১৩৪৭ (১৯৪০) সম্পাদনা করেন আবুল মনসুর আহমদ। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় পত্রিকার দায়িত্ব থেকে সরে যান তিনি। দৈনিক ও সাপ্তাহিক উভয় অবয়বেই প্রকাশ পেয়েছিল 'কৃষক' পত্রিকা। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশ পায়, সাপ্তাহিক কৃষক-ঈদুলফেতর ১৩৪৮। সম্পাদক ছিলেন আহমদ আলী। একই বছরে দৈনিক কৃষক-ঈদুল ফেতর ১৩৪৮ প্রকাশ পায়। সম্পাদক ছিলেন এ. কে. সিরাজউদদীন আহমদ। মূল্য ছিল আট আনা।

পল্লী বান্ধব ১৯৪১। ৩২ পৃষ্ঠার এই সংখ্যাটি ছিল 'কোরবাণী সংখ্যা'। 'রাজসাহী'র হেমা প্রেস থেকে প্রকাশিত এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন এম. এ. আজম। ঔপনিবেশিক আমলে প্রকাশিত আমাদের সকল জেলাভিত্তিক সংবাদপত্র-সাময়িকীর যদি একটা ভাণ্ডার গড়ে তোলা যেত, তবে হারিয়ে যাওয়া বহু ইতিহাস প্রাণ পেত নিঃসন্দেহে। তৎকালীন সিলেট জেলা হতে প্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকী ছিল 'সবুজ পতাকা'। অক্টোবর ১৯৪২ সালে প্রকাশিত 'সবুজ পতাকা' ঈদসংখ্যার শুরুতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর ছবি ও স্বাক্ষরকৃত শুভাশীষ খুঁজে পাওয়া যায়। এই শুভাশীষটি আমাদের সামাজিক ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল। পত্রিকাটির মূল্য ধার্য্য করা হয়েছিল ছয় আনা। সম্পাদক ছিলেন এমাজ উদ্দীন আহমদ চৌধুরী। প্রচ্ছদে সংযুক্ত হয় নজরুলের সেই অমর গান, 'ও মন রমজানের... '।

সবুজ পতাকা ঈদসংখ্যা ১৯৪২ এর প্রচ্ছদ

'মিল্লাত' ঈদসংখ্যা (১৯৪৬) এর সম্পাদক ছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দার্শনিক আবুল হাশিম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইদরিস। ঈদসংখ্যার শিরোনাম ছিল 'আজিকার দিনেও খাদ্য নষ্ট করবেন না'। ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই 'বেগম' পত্রিকা প্রকাশ পায়। প্রকাশের এক বছর পরই নারীদের ছবিসহ 'বেগম' এর প্রথম ঈদসংখ্যা বের হয়। এর আগে উপমহাদেশের আর কোন পত্রিকা নারীদের ছবিসহ ঈদসংখ্যা প্রকাশ করেনি। কলকাতা থেকে প্রকাশ পেয়েছিল 'বেগম' এর '৪৮ ও '৪৯ সালের ঈদসংখ্যা।

কলকাতায় ঈদসংখ্যা প্রকাশের যে ধারা সৃষ্টি হয়েছিল তা সাতচল্লিশের পরে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ঈদকেন্দ্রিক প্রকাশনা 'ঈদ সংখ্যা'কে ঘিরে গড়ে ওঠে বাঙালি মুসলমানের সাংস্কৃতিক পরিচয়। এ সংখ্যাগুলোতে শুধু ঈদকে ঘিরেই গদ্য-পদ্য ছাপা হতো প্রায় হাফ ডজন। পাশাপাশি গল্প-উপন্যাস, নিবন্ধ-প্রবন্ধতো ছিলই। আর বিজ্ঞাপনের পরিমাণ ছিল উল্লেখ করার মতো। রঙচঙে প্রচ্ছদের ঝকঝকে ছাপা ঈদসংখ্যার কথা কল্পনাই করা যেত না। প্রচ্ছদ ছাপানো হয়েছে এক রঙে। অনেক ক্ষেত্রে ছবি খুব স্পষ্ট হতো না। গল্প-উপন্যাসের অনেক ইলাস্ট্রেশন ঝাপসা হয়ে যেত। সে সময়ের ঈদসংখ্যা পড়তে গেলে কারিগরি মান সম্পর্কে এখনকার প্রজন্মের পাঠক মোটেও তৃপ্ত হবেন না। ঈদসংখ্যায় উপন্যাস ও বড় গল্পের উপস্থিতি ছিল যৎসামান্য। প্রবন্ধের আধিক্য ছিল সবচেয়ে বেশি। তারপর ছিল কবিতার স্থান।

'মদীনা' ঈদসংখ্যার শুরুতেই রয়েছে নজীর আহমদ চৌধুরীর লেখা 'ঈদ সম্ভাষণ' শিরোনামের প্রবন্ধ। মুহম্মদ এনামুল হক লিখেছেন 'সিয়াম' বা নিবৃত্তি-ব্রত এবং আবদুল আলী লিখেছেন 'ঈদুলফিৎর' শীর্ষক প্রবন্ধ। রিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী'র লেখা 'ঈদ-খোশ-আমদেদ' শীর্ষক ছড়া পাঠকের মনকে আজও আন্দোলিত করবে—'এলো ঈদ,/গাও গীত/মারহাবা। মারহাবা।/খোশরোজ,/দাও ভোজ/ঘরে ঘরে আজ কাবা।/...ভোল, বীর-/ত'কসীর/জীবনের সব খেদ/আ'গে চল, মুখে বল/ঈদ, খোশ আমদেদ।'

কবি শাহাদাৎ হোসেন লিখেছেন কবিতা 'রমজানের বিদায় বাসরে'। 'রমজানের অভিজ্ঞতা' শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন আমজাদ হোসেন। ঈদ সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধের বাইরে আরও আটটি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে আলোচ্য সংখ্যায়। সংখ্যাটির বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত হয়েছে বেশ কিছু লেখকের কবিতা। তবে মুসলিম জাগরণের অনন্য সাধক, কবি গোলাম মোস্তফার লেখা 'বাংলা দেশ' কবিতাটি এ সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৩১ বছর আগেই 'বাংলা দেশ' শিরোনামে কবিতার শেষাংশে কবি লেখেন, হেথা ভা'য়ে ভা'য়ে ঘর বেঁধেছি হিন্দু-মুসলমান/হেথা, মন্দিরেতে ঘন্টা বাজে মসজিদে আজান/মোদের, একই আশা, একই ভাষা একই সে স্বদেশ/-মোদের বাংলা দেশ।'

পূর্ণ, অর্ধ, কোয়ার্টার ও অর্ধ কোয়ার্টার পৃষ্ঠার মোট ২৮টি বিজ্ঞাপন দৃষ্টিগোচর হয় এ সংখ্যায়। তন্মধ্যে চা, ব্যাংক, ইনসিওরেন্স, এসিওরেন্স, কনফেকশনারি, জুয়েলারি, বন্দুক, আতর, হোমিওপ্যাথি, পুস্তকাদি, তাবিজ-কবচ, দাদের মলম, মাথার তেল, হোটেল, প্রেস, হস্তরেখা ও কোষ্ঠি-বিচার এর বিজ্ঞাপন লক্ষণীয়। এছাড়া সংযুক্ত হয়েছে পাঁচটি নিবন্ধ। ভ্রমণ বৃত্তান্ত 'ভারতের পশ্চিম সীমান্তে' এবং নাটক 'নতুন জলের ঢল'-শীর্ষক রচনাও রয়েছে সূচিপত্রে। গল্প হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে 'দোলন' এবং 'ফাউন্টেন পেনের ইতিহাস'। সর্বোপরি দেশভাগ পূর্ব অবিভক্ত বাংলার গ্রামীণ সমাজের অর্থনৈতিক সংকট এবং হিন্দু-মুসলিম রেষারেষিকে কেন্দ্র করে লেখা শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস জননী'র প্রথম পর্ব ছাপা হয় 'মদীনা' ঈদসংখ্যায়।

দৈনিক কৃষক-ঈদুল ফেতর ১৯৪১ এর প্রচ্ছদ

সেকালে বাংলা ও আসামের সর্বত্র মদীনা পত্রিকাটি যে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে পূর্ণ পৃষ্ঠাব্যাপী অভিনন্দন পত্র সংযুক্ত ছিল পত্রিকার শেষাংশে; যেখানে পৃষ্ঠার বাম কলামে 'সুধী সমাজের অভিমত' শিরোনামে স্থান পেয়েছে ডা. মুহম্মদ এনামুল হক, কবি শাহাদাৎ হোসেন, যশোহর এর ডা. আবদুল মালেক, মওলানা মকবুল হোসেন আক্কেলপুরী, ডা. আবদুল গফুর ছিদ্দিকী, দেওয়ান মোহাম্মদ আহবাব চৌধুরী এবং মওলানা আবদুল হামিদ খান এর উক্তি। আর পৃষ্ঠার ডান কলামে 'সংবাদপত্রের সমালোচনা' শিরোনামে কলিকাতার দৈনিক 'ষ্টার অব ইণ্ডিয়া', ঢাকার 'দরদী', খুলনার 'হেদায়েত', সাতক্ষীরার 'শুভবাণী', ত্রিপুরার 'গুণবতী পত্রিকা', রাজশাহীর 'পল্লীবান্ধব', সাতক্ষীরার 'আনন্দময়ী' ও কলিকাতার দৈনিক 'কৃষক' পত্রিকার অভিমত ছাপা হয়েছে।

'সবুজ পতাকা' ঈদসংখ্যার শিরোনাম ছিল 'সেই দিন হবে ঈদ'। পত্রিকার বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু কবিতার দেখা মিলে। তন্মধ্যে আবদুল গফফার চৌধুরী'র 'সবুজের ঈদ' কবিতাটি উল্লেখযোগ্য—'সুনীল নভের কন্ঠে ধরিয়া বিশ্বের ব্যথা-বিষ,/হাসিছেরে ওই ঈদের হেলাল আলো করি দশদিশ।...'

কবিতার পর সংখ্যাটিতে প্রবন্ধ ও গল্পের আধিক্য সবচেয়ে বেশি। ঈদ সংশ্লিষ্ট গল্প 'ঈদের চাঁদ' লিখেছেন মিস রওশন আরা বেগম। 'ঈদের চাঁদ' শীর্ষক একটি প্রবন্ধও রয়েছে এ সংখ্যায়। অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাঁ এর লেখা নাটক 'মুছাফিরখানা' এবং এ. জেড. আব্দুল্লাহ এর লেখা কথিকা 'আগামী পরশু'র নাম দেখা যায় সূচিপত্রে। 'সবুজ পতাকা'য় মোট ১৭টি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। 'পল্লী বান্ধব' ঈদসংখ্যার প্রচ্ছদে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর ছবি ছাপা হয়। প্রচ্ছদের শিরোনাম ছিল—'ধ্বনি ওঠে রণি দূর বাণীর-/আজি গরু-ভেড়া কোরবাণীর/হত্যা যে নয় সত্যাগ্রহ শক্তির উদ্বোধন!/দুর্ব্বল ভীরু চুপ রহো, ওহো খামাখা ক্ষুদ্ধমন!!'

বিশাল কলেবরের 'মিল্লাত' ঈদসংখ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিয়ারশোল রাজস্কুলে পাঠ্যাবস্থায় তোলা কাজী নজরুল ইসলামের একটি ছবি। এ সংখ্যায় বেশ কয়েকটি নতুন বিষয়ে রচনা স্থান পায়। এর মধ্যে পটুয়া কামরুল হাসানের স্বাস্থ্য গঠন বিষয়ক রচনা 'ব্যায়াম', আবুল হাসানাতের শরীরবিজ্ঞান বিষয়ক রচনা 'যমজ সন্তান', আলোকচিত্রের কৃৎকৌশল নিয়ে ফজলে লোহনীর 'ফটোগ্রাফির কথা' এবং জহুরুল হকের 'পরমাণু যুগ' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ঈদ সংখ্যাটিতে রশীদ করিম, আবু রুশদ ও শওকত ওসমানের মতো বেশ কয়েকজন উদীয়মান তরুণ সাহিত্যিকের গল্প ছাপা হয়েছিল; যারা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্যে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

চল্লিশ দশকের এই ঈদসংখ্যাগুলো নিঃসন্দেহে আমাদের বাংলা ভাষা-ভাষীদের ঐতিহ্য। এসব ঈদ সংখ্যার একটি পাঠকশ্রেণি ছিল। অধীর আগ্রহে যাঁরা ঈদসংখ্যার জন্য অপেক্ষা করতেন। আর এখন অনলাইনেই রয়েছে ঈদসংখ্যার ব্যাপক আয়োজন। কালের পরিক্রমায় আমাদের রুচি বদলেছে, লাইফস্টাইল পাল্টে গেছে। প্রকাশনার প্রযুক্তি এগিয়েছে অনেক। এ পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানে কতটুকু সক্ষম হয়েছে উৎসবকেন্দ্রিক এ আয়োজন তা অবশ্য গবেষণার বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

Election Roadmap: BNP unhappy as Yunus gives no specific timeline

The election must be held by December, as any delay could cause the situation to spiral out of control, the BNP said after a meeting with the chief adviser yesterday.

7h ago