ম্যানসিটি ছাড়ার আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত করতে চান ডি ব্রুইনা

ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে আগের দিন দারুণ এক জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৫-২ ব্যবধানের দারুণ এই জয়ে দুর্দান্ত এক পারফরম্যান্স দেখান কেভিন ডি ব্রুইনা, যিনি মৌসুম শেষে ছাড়বেন ইতিহাদ। ম্যাচ শেষে এই বেলজিয়ান তারকা জানালেন, মৌসুম শেষে বিদায় জানানোর আগে ক্লাবকে চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলতে চান তিনি।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার প্যালেসের বিপক্ষে দুই গোল পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সিটি, যার সূচনা করেন ৩৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ক্লাব ছাড়ার ঘোষণার পর ২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেওয়া ডি ব্রুইনার জন্য এটি ছিল চলতি মৌসুমে প্রথম হোম ম্যাচ।

প্রথমার্ধে ইবেরেচি এজে এবং ক্রিস রিচার্ডসের গোলে প্যালেস এগিয়ে গেলেও দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে গোল করে সিটিকে ম্যাচে ফেরান ডি ব্রুইনা। বিরতির আগেই ওমর মারমুশ গোল করে সমতা ফেরান, আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডি ব্রুইনার পাস থেকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে নেন মাতেও কোভাচিচ। এরপর তরুণ দুই খেলোয়াড়, জেমস ম্যাকঅ্যাটি ও নিকো ও'রেইলি গোলে সিটির দাপুটে জয় নিশ্চিত হয় এবং উঠে আসে টেবিলের চতুর্থ স্থানে।

ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনা বলেন, 'যত দ্রুত সম্ভব গোল করাটা জরুরি ছিল, ম্যাচের গতি পাল্টানোর জন্য। আমরা খুব খারাপ খেলছিলাম না, তবে স্কোরলাইনের চেহারা ভালো ছিল না। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াই। আমি চাই, এই দলটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে রেখে যেতে। তারা সেটা প্রাপ্য।'

'আমি যখন থেকে এখানে আছি, তখন থেকেই দল নিয়মিত চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলছে। আশা করি, এবারও সেটা নিশ্চিত করতে পারব, আর আমি সবসময় যেভাবে খেলেছি, ঠিক সেভাবেই ভালো ফুটবল খেলে যেতে চাই,' যোগ করেন এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।

গত দুই মৌসুমে চোটের কারণে নিজের পুরনো ছন্দ হারালেও, ডি ব্রুইনে এখনো দলের জন্য বড় এক অনুপ্রেরণা। লিগের বাকি ছয় ম্যাচেও যদি এমন পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেন, তাহলে বিদায়ের আগে দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগে রেখে যাওয়াটা নিশ্চিত করতেই পারেন।

ডি ব্রুইনার পারফরম্যান্স নিয়ে কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, 'কেভিন আজ যেভাবে খেলেছে—বহু বছর ধরে, বহু ম্যাচে যেভাবে খেলেছে—এটাও তেমনই এক পারফরম্যান্স। সে দুর্দান্ত খেলেছে। কঠিন মুহূর্তে আমাদের পথ দেখিয়েছে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা নেই। সে দুর্দান্ত করেছে এবং আমি জানি, এখনও সে অনেক কিছু দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।'

'আজও ফাউলের শিকার হয়েছে, কিন্তু বল পায়ে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। গোল, অ্যাসিস্ট—সব মিলিয়ে আমাদের জয় এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ২-০ পিছিয়ে থেকেও আমরা পরিকল্পনায় অটল ছিলাম। এখন আমাদের ছয়টি ম্যাচ বাকি এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করতে পয়েন্ট দরকার। তাই এই জয় ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ,' যোগ করেন এই কোচ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh's exports stuck in EU, US orbit

Non-garment exports struggle with quality standards and logistics bottlenecks

13h ago